সংসদে হামলা। পাঠানকোট। উরি। আর এবার পুলওয়ামা। ফের ভারতকে ক্ষতবিক্ষত করল জইশ-এ-মহম্মদ। এত বড় জঙ্গি হামলা এর আগে কোনও দিন দেখেনি উপত্যকা। জইশের মাথা মাসুদ আজহার ভারতের কাছে দীর্ঘদিনেরই যন্ত্রণা। কয়েক দশক আগে কাশ্মীরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু, ১৯৯৯ সালে কন্দহর বিমান অপহরণ কাণ্ডের জেরে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় বাজপেয়ী সরকারে।এর পরের বছরই, ২০০০ সালে জইশ-এ-মহম্মদ তৈরি করেন মাসুদ আজাহার। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হামলার অন্যতম প্রধান চক্রীও ছিল এই মাসুদ আজহার। সংসদে হামলার বছরেই জইশ দু’টুকরো হয়ে যায়। পাক প্রেসিডেন্ট তখন পারভেজ মুশারফ। তিনি আফগানিস্তান থেকে তালিবানি শাসন উৎখাত করতে আমেরিকাকে সাহায্য করছিলেন।এতে জইশ-এর অন্দরে বিবাদ শুরু হয়— তারা পাকিস্তানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে নাকি মুশারফের বিরুদ্ধে যাবে। জইশের একাংশ তখন মুশারফকে খুনের ছক কষে। এরপরই পাক সেনা জইশের বিরুদ্ধে কড়া হতে শুরু করে, তাদের জঙ্গি কাজকর্ম প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু, দিনে দিনে সেই পরিস্থিতি পালটায়। আবার মাথা তুলে দাঁড়ায় জইশ-এ-মহম্মদ। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তারা পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায়। শহিদ হন সাত জওয়ান। এরপর, ২০১৬ সালেরই ১৮ সেপ্টেম্বর ফের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা। উরির সেনাঘাঁটিতে জইশের হামলায় প্রাণ হারান ১৯ জন সেনা। আর এবার পুলওয়ামায় ফের ভারতকে রক্তাক্ত করল জইশ-এ-মহম্মদ।