মফস্বলে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও বিজ্ঞান শিক্ষা এবং বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যাল। জঙ্গলমহলের জেলায় অবস্থান সত্বেও সমস্ত সীমাবদ্ধতাকে দূরে ঠেলে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরাও স্থান করে নিলেন জগৎ সভায়। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বের গবেষকদের তালিকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বা দু’জন নন, এক সঙ্গে ৩৪ জন গবেষক তাঁদের গবেষণার জন্য বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেলেন। প্রতি বছরই বিশ্বের সমস্যা বিজ্ঞানীদের অবস্থান দেখা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
বিশ্ববিজ্ঞানী এবং বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং এর তালিকা অনুযায়ী দেখা গেল, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ জন বিজ্ঞানী এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরিখে দেখা গেল, প্রথম হয়েছেন নিউট্রোজেনোমিক্সের অধ্যাপক দেবীদাস ঘোষ। অঙ্ক বিভাগের অধ্যাপক মধুমঙ্গল পাল হয়েছেন দ্বিতীয়। বটানি বা উদ্ভিদ বিদ্যায় অধ্যাপক অমলকুমার মন্ডল তৃতীয় হয়েছেন। বায়োলজির অধ্যাপক সোমনাথ রায় চতুর্থ। আর পঞ্চম হয়েছেন অধ্যাপক কেশব চন্দ্র মন্ডল। এভাবেই বিভিন্ন বিভাগের ৩৪ জন গবেষক বিশ্বের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। বিশ্বের মধ্যেই অবশ্য খুব একটা পিছিয়ে নেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরিখে প্রথম স্থানে থাকা দেবীদাসবাবুর এশিয়াতে ৬২১২ তম স্থানে। আর বিশ্বে ৪৯১৬৮ তম স্থানে। মধুমঙ্গলবাবু এশিয়াতে ৬৩৯২ ও বিশ্বে ৪০৩১৭ তম স্থানে। অমলবাবু এশিয়াতে ৮৯০৬ ও বিশ্বে ৬৭৫০৪ তম স্থানে। সোমনাথবাবু এশিয়া র্যাঙ্কিংয়ে ১৩৭৩৩ ও বিশ্বে ৯৭৫৬১ তম স্থানে। আর কেশবাবু এশিয়াতে ১৪০৬৯ ও বিশ্বে ৯৯৪৪৬ তম স্থানে।... শুনে নেবো এই তালিকায় বিদ্যাসাগর বিদ্যালয়ের নিরিখে তৃতীয় স্থানে থাকা উদ্ভিদবিজ্ঞানী তথা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটানির অধ্যাপক অমল কুমার মন্ডল তাঁর প্রতিক্রিয়াতে বললেন