পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র সৈকত নগরী দীঘা। পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গোপসাগর উপকূল উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। এই পুরো মেদিনীপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র দীঘা, সারি সারি ঝাউবন আর উত্তাল ঢেউ ছুটি কাটাতে আসে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি। দীঘার ইতিহাস ঘাটলে উঠে আসে নানা তথ্য। দীঘার প্রকৃত নাম বীরকুল যা অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে আবিষ্কৃত হয়। ভাইসরয় ওয়ারেন হেস্টিংসের লেখা একটি চিঠিতে এটিকে 'প্রাচ্যের ব্রাইটন' বলে উল্লিখিত দেখা যায়। ১৯২৩ সালে জন ফ্রাঙ্ক স্মিথ নামে এক ব্রিটিশ ভ্রমণকারী এখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দীঘায় বসবাস শুরু করেন। তার লেখালেখির ফলে দীঘা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। ভারতের স্বাধীনতার পর তিনি পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ডঃ বিধানচন্দ্র রায়কে উৎসাহ দেন এখানে পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধি করতে। পরবর্তীকালে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীঘার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে পর্যটকদের কাছে আরও মনোরম পরিবেশের উপহার দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেল মন্ত্রী থাকাকালীন চালু করেছিলেন হাওড়া দিঘা রেললাইন। বর্তমানে হাওড়া থেকে দিঘা আসার বেশ কয়েকটি লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে। ভারতবর্ষে জুড়ে করোনা অতিমারি আবার ফিরে এলে বর্তমানে দিন দিন পর্যটক শূন্য হয় উঠেছে দীঘা। ফাঁকা সমুদ্র সৈকত। শুধু উত্তাল ঢেউ পড়ছে বালুকা ভূমিতে। বর্তমানে মাছ ধরার ব্যান পিরিওড থাকায় মোহনা থেকে সমুদ্রের নামছে না মাছ ধরার কোন ট্রলার। কিন্তু স্থানীয় জেলেরা ছোট ডিঙ্গি নৌকায় করে জাল টেনে মাছ ধরছে। তাদের জালে উঠে এলো জ্যান্ত ইলিশ।