দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রান্নাঘর থেকে ফুটবল খেলার মাঠে মেতেছেন সুন্দরবনের মহিলারা। যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। কারোর বয়স তিরিশ বছর, আবার কারোর বয়স সত্তরের দোরগোড়ায়। এনারা সবাই অজ-গায়ের গৃহবধূ। এই মহিলারাই সুন্দরবন রক্ষা করতে ম্যানগ্রোভের চারা রোপণ করেছেন, নদীবাধে মাটি দিয়ে বন্যার হাত থেকে গ্রামকে বাঁচিয়েছেন। আজ তারা আরও এগিয়ে যেতে চায়। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারাও যে পিছিয়ে নেই সেই কথাই তুলে ধরতে চায়। দক্ষিন ২৪ পরগণা জেলার বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালী অঞ্চলের প্রজাঘেরী গ্রামের মহিলারা সংসারের কাজ ফেলে তাই মেতে উঠেছেন ফুটবল খেলায়। দিল্লির সেচ্ছাসেবী সংস্থা গুঞ্জ এই খেলায় সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের। যে সমস্ত মহিলারা কখনোই কোনোদিন কোনো খেলায় অংশগ্রহণ করেনি, তেমনই ঘরের গৃহ বধূদের উৎসাহিত করতে এদিন ফুটবল খেলার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন খেলা ধুলো আয়োজন করা হয়। মহিলাদের হাডুডু ও মহিলাদের জন্য কাছি টানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই খেলার সূচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন ঝড়খালী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গুরুদাসী মণ্ডল, উপ প্রধান দিলীপ মণ্ডল, গুঞ্জ সংস্থার সদস্য প্রশান্ত সরকার, সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। খেলা দেখতে ভীড় জমিয়েছিলেন গ্রামের মানুষ। কারণ এই ধরনের খেলা গ্রামে এই প্রথম। দর্শকরা ভীষণ আনন্দও পেয়েছেন মহিলাদের বিভিন্ন খেলা দেখে। এই খেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি বলে জানিয়েছেন সরস্বতী, গীতা, চন্দনা, সুমিত্রা, নমিতাদের মতন প্রায় ৮০ জন গৃহবধূ। খেলার শেষে সকলে পেয়েছেন পুরস্কার।