শিলিগুড়ি: 'প্রতিবছর তাঁর মূর্তি গড়ে তাঁকে করতেই হবে পুজো'! প্রায় ৩০ বছর আগে স্বর্গীয় শান্তিরঞ্জন সাহা পেয়েছিলেন এক স্বপ্নাদেশ! তখন তিনি সরকারি আমলা। কর্মরত ছিলেন এরাজ্যেরই পুলিশে। কিন্তু ভক্তি যেন শান্তিরঞ্জনবাবুকে আঁকড়ে ছিল। এরপরই স্বপ্নাদেশের পর হাজির হন কূলগুরুর কাছে। সেই গুরুরই নির্দেশে তৎকালীন পানিট্যাঙ্কি নেপাল বর্ডার এলাকায় সেখানকার বাসিন্দাদের নিয়ে শুরু করেন এই জগদ্ধাত্রী পুজো। চাকুরি জীবন শেষে শান্তিরঞ্জনবাবু এসে ঠাঁই হন শিলিগুড়ির মিলনপল্লী এলাকায়। সেখানেই শুরু করেন মহাসমারোহে মা জগদ্ধাত্রী পুজো। কালান্তরে এই পুজোয় লাগে বিরাম। আর এতেই শুরু হয় বিপত্তির। যে কারণেই পুজো বন্ধ হোক না কেন, শুরু করতেই হবে সেই পুজো! এবার সেই স্বপ্নাদেশ আর শান্তিরঞ্জনবাবু পেলেন না, পেলেন তারই ছেলে জয়ন্ত সাহা। জয়ন্তবাবু নতুন বাড়ি তৈরি করেছেন। সেখানে বিগত দু'বছর থেকে পূজিতা হন এই 'জাগ্রত' দেবী জগদ্ধাত্রী মা। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সাড়ম্বরে পুজোর আয়োজন করা জয়ন্তবাবুর নতুন বাড়িতে। এলাকাবাসী এমনকি দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেল এদিন জয়ন্তবাবুর বাড়িতে।