শিশুদের উপর বাড়ছে যৌন নির্যাতন। পকসো আইনে চলছে মামলাও । কিন্তু শুনানির সময়ে অভিযুক্তের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে ট্রমা। অনেকের সামনে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা গুছিয়ে বলতেও পারে না শিশুরা। শিশুদের অধিকার সুরক্ষিত করতে এবার কলকাতায় চালু হল রাজ্যের প্রথম চাইল্ড ফ্রেন্ডলি আদালত। নগর দায়রা আদালতে আজ উদ্বোধন হল এই বিশেষ আদালতের। শিশুদের উপর নির্যাতন যেমন বাড়ছে, তেমনই দিনের পর দিন অন্য মাত্রা পাচ্ছে শিশুদের প্রতি অপরাধ মনস্কতা। শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নিতে ২০১২ সালে চালু হয় প্রিভেনশন অফ চিলন্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস বা পকসো আইন। কিন্তু এই আইনে শুনানির সময়ে শিশুদের ট্রমা যেন কয়েক গুণ বেড়ে যায়। চোখের সময়ে অভিযুক্তকে দেখে আতঙ্কে কথা বন্ধ হয়ে যায় বহু শিশুর। এই পরিস্থিতি থেকে শিশুদের রেহাই দিতে এবার চালু হল চাইল্ড ফ্রেন্ডলি আদালত। শনিবার নগর দায়রা আদালতের পাঁচতলায় পথচলা শুরু হল রাজ্যের প্রথম শিশুবান্ধব আদালতের। কেমন হবে চাইল্ড ফ্রেন্ডলি আদালত? কী-ই বা তার বৈশিষ্ট্য শুনানির সময়ে নির্যাতিত শিশুদের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা থাকছে, প্লে-রুমে থাকছে শিশুদের খেলার নানা সরঞ্জাম, এজলাসে সকলের সামনে হাজির হতে হবে না শিশুদের, এজলাসে থাকবেন বিচারক ও অভিযুক্তরা, শিশুদের সঙ্গে থাকবেন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাপোর্ট স্টাফ, ভিডিও কনফারেন্সে কথা হবে শিশুর সঙ্গে, সাপোর্ট স্টাফি শিশুদের বুঝিয়ে জেনে নেবেন আসল ঘটনা ৷ শনিবারের শিশুবান্ধব আদালতের উদ্বোধন করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মদনমোহন লোকুর ও ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। কলকাতা ছাড়াও বাঁকুড়ায় দুটি ও বর্ধমানে একটি চাইল্ড ফ্রেন্ডলি আদালতও শুরু হল শনিবার থেকে।