

প্যানডেমিকে ঘরবন্দী হয়ে পড়ায় ব্যাপক হারে বেড়েছে WhatsApp-এর ব্যবহার। গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে গত বছর একের পর এক নতুন ফিচার নিয়েও হাজির হয়েছে মেসেজিং অ্যাপ WhatsApp। বিজনেস অ্যাকাউন্টের জন্য কার্ট (Cart) অপশন, পেমেন্ট অপশন এনেছে তারা। একসঙ্গে একটাই WhatsApp অ্যাকাউন্ট একের বেশি ফোনে চালানোর জন্যও নতুন ফিচার আনতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এবার এসবের পাশাপাশি ভিডিও মিউট করার অপশন আনছে তারা। যার কথা গত বছরেই জানা গিয়েছিল। এবার সেই ফিচারেরই টেস্টিং শুরু করল সংস্থা।


২০২০-র শুরুতে বা তার কিছুটা আগে থেকে WhatsApp ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। প্যানডেমিকে যা বেড়েছে আরও অনেকটা বেশি। তথ্য বলছে, বহু মানুষ ঘরবন্দী হয়ে যাওয়ার পরে WhatsApp-কেই মেসেজের প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন। আবার অনেকেই নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য WhatsApp ভিডিও কলের সাহায্য নিয়েছেন। এই মেসেজিং অ্যাপ ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ক্ষেত্রেও অনেকটা সুবিধে করে দিয়েছে। মোটামুটি ব্যবহারকারীরা গড়ে ১৫ বিলিয়ন মিনিট কাটিয়েছেন এই অ্যাপে।


যার কথা মাথায় রেখে এই সব নতুন ফিচার এনেছে সংস্থা। জানা গিয়েছে, কাউকে ভিডিও পাঠানোর আগে তা মিউট করা যাবে এবার থেকে। অ্যান্ড্রয়েড বেটা v2.21.3.13 ভার্সনে এই অ্যাপের টেস্টিং চলছে। WhatsApp-এর ক্ষেত্রে এই ফিচার নতুন ভাবে চালু হলেও Instagram-এর ক্ষেত্রে কিন্তু আগেই চালু হয়ে গিয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মে কাউকে সরাসরি ভিডিও পাঠানোর জন্য বর্তমানে মিউট করার অপশন পাওয়া যাচ্ছে।


শোনা যাচ্ছে, এই ফিচার চালু করলে একদম প্রথমে iOS-এর জন্যই চালু করবে সংস্থা। পরে অ্যান্ড্রয়েডে আনা হবে। WABetaInfo-র তথ্য বলছে, এই ফিচারটি WhatsApp-এর বেটা ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ হবে। কাউকে ভিডিও পাঠানোর আগে একটি ভলিউম অপশন পাওয়া যাবে। যাতে মিউট করার অপশন থাকবে। এই ভলিউম অপশনটি আবার পাওয়া যাবে ভিডিও এডিট সেকশনে। বাকি সব অপশন এডিটে একদম আগের মতোই থাকবে।


এর আগে এই অপশনটি অ্যান্ড্রয়েড বেটা v2.20.207.2-এ ছিল। কিন্তু ওই ভার্সনে শুধুই কাজ চলেছে। বাকি আর কিছু হয়নি। পরে v2.21.3.13 ভার্সনে টেস্টিংয়ের কাজ শুরু করার কথা পরিকল্পনা করে তারা।


নতুন ফিচার আনলেও সম্প্রতি প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়, তাতে প্রচুর ব্যবহারকারী এই অ্যাপ ছেড়ে অন্য অ্যাপে চলে গিয়েছেন। ভারতে বহু মানুষ WhatsApp-এর ব্যবহার বন্ধ করেছেন। যার ফলে Signal বা Telegram-এর মতো অ্যাপের ব্যবহার অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। তবে, সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, তারা আর কোনও পরিবর্তন প্রাইভেসি পলিসিতে করবে না।