পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকেই অনেক পরিবর্তন হয়ে চলেছে এই বিশ্ব ব্রক্ষ্মাণ্ডে। সময়ে সময়ে, মহাকাশ থেকে আসা উল্কা পৃথিবীতে পড়ে। এই পাথরগুলো পৃথিবীতে পড়ে, যার গবেষণা থেকে বিজ্ঞানীরা মহাকাশের অনেক রহস্য জানার চেষ্টা করেন। এই গবেষণার ভিত্তিতে, এটি নিশ্চিত করা হয়েছিল যে বিশালাকার উল্কাপিণ্ডের কারণেই একদিন পৃথিবী থেকে ডাইনোসরদের বিলুপ্তি হয়েছিল। এমতাবস্থায়, এখন যদি এমন উল্কা পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খায়, তাহলে পৃথিবী থেকে মানুষও শেষ হয়ে যেতে পারে। এ কারণে দিনরাত অনেক বিজ্ঞানী মহাকাশে উল্কাপিণ্ডের গতিবিধির ওপর নজর রাখেন।
NASA এই উল্কাপিন্ডের নাম দিয়েছে 138971 (2001 CB21)। এটিকে সম্ভাব্য বিপদ বলে অভিহিত করেছে নাসা। হিসেব অনুযায়ী, এই উল্কাপিণ্ড যদি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খায়, তাহলে তা ধ্বংস ডেকে আনতে পারে। তবে এর সম্ভাবনা খুবই কম। তবুও, বিজ্ঞানীরা এটির দিকে মনোনিবেশ করছেন। বলা হচ্ছে, এই উল্কাপিণ্ডের আয়তন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভবন বুর্জ খলিফার থেকেও অনেক বড়। এর আয়তন একটি ৭২ তলা ভবনের চেয়েও বড়।
NASA তার ডাটাবেসের মাধ্যমে এই উল্কাপিন্ডের সন্ধান পেয়েছে। মার্কিন সংস্থা নাসা জানিয়েছে, ৪ মার্চ সকাল ৭.৫৯ মিনিটে এই উল্কা পৃথিবীর কাছাকাছি চলে যাবে। যাইহোক, এখন পর্যন্ত অনুমান অনুযায়ী, এই উল্কাটি পৃথিবী থেকে ৩ মিলিয়ন মাইল অতিক্রম করবে, তবে এটি যদি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা প্রভাবিত হয় তবে এটি মানুষের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এখন এটি চাঁদের তুলনায় পৃথিবী থেকে চার গুণ বেশি দূরত্ব অতিক্রম করবে।
যদিও এই মুহুর্তে এই উল্কার আকার নিয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিন্ত নন। অনেক বিজ্ঞানী বলেছেন, এত বড় উল্কাপিণ্ড এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি, তাই হয়তো বিজ্ঞানীদের হিসেব-নিকেশের ভুলের কারণেই এমনটা হয়েছে। এটি ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজ্ঞানীরা প্রথম দেখেছিলেন। এরপর থেকে নজরদারি করা হচ্ছিল এর উপর। অবশেষে মহাকাশবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ৪ মার্চ পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে এই উল্কাটি।