কিছুতেই ঠান্ডা হচ্ছে না ফ্রিজ ? মেকানিক ডাকার আগে খেয়াল করুন ৫টি বিষয়

রেফ্রিজারেটর ছাড়া গৃহস্থালি কাজ সামলানোর কথা আজকাল আর ভাবাই যায় না। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এর চাহিদা সব সময়ই বেশি। গরমকালে সেই চাহিদা আরও বেড়ে যায়। অতিরিক্ত তাপমাত্রা কারণে যে কোনও খাবার বাইরে রাখা হলে তা দ্রুত নষ্ট হতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে ফল হোক বা শাকসবজি অথবা রান্না করা অতিরিক্ত খাবার— সবই ফ্রিজে রাখতে হয়।

রেফ্রিজারেটর এই সব খাদ্য সামগ্রী অনেকদিন পর্যন্ত টাটকা রাখতে পারে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়। তবে সমস্যা হয় তখন, যখন দেখা যায় নিত্য প্রয়োজনীয় রেফ্রিজারেটরটি ঠিক মতো ঠান্ডা হচ্ছে না। এমন ঘটলে প্রথমেই যেটা মনে হয় তা হল, ফ্রিজ খারাপ হয়ে গেছে। তখনই খবর দেওয়া হয় মেরামতির দোকানে বা কাস্টমার কেয়ারে। কিন্তু বেশ কিছু সাধারণ কারণেও ফ্রিজ কম ঠান্ডা হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—

ফ্রিজের দরজা: অনেক সময় রেফ্রিজারেটরের দরজা ঠিক মতো বন্ধ হয় না। এমনও হয়, কোনও কারণে সেটি দীর্ঘ সময় খোলা রইল। সেক্ষেত্রে শীতলতার উপর প্রভাব পড়তে হবে। ফ্রিজের দরজা ঠিক মতো বন্ধ হয়েছে কিনা তা দেখা খুব দরকার।

তাপমাত্রা নির্ধারণ: রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই সেদিকে নজর দেন না। ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিকমতো সেট করা হয় না। অনেক সময় এমনও হয় যে শীতকালের বাহ্যিক তাপমাত্রা অনুসারে ফ্রিজের তাপমাত্রা সেট করে গ্রীষ্মে সেই সেটিং পরিবর্তন করতে ভুলে যান।

বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিদ্যুৎবাহী তার ঠিক আছে কিনা এবং ফ্রিজে ঠিক মতো বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় যে সকেটে বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক মতো আসছে না। কিংবা কোথাও তার কেটে গেছে। এগুলি মেরামত করিয়ে নিতে হবে।

কুলিং ফ্যান: ফ্রস্ট ফ্রি রেফ্রিজারেটরের ক্ষেত্রে একটি কুলিং ফ্যান থাকে, যা ফ্রিজে ঠান্ডা বাতাস সঞ্চালন করে। এই ফ্যান ঠিক মতো কাজ না করলে শীতলতার উপর প্রভাব পড়তে পারে।

কুল্যান্ট: কুল্যান্টের মাত্রা কম হলেও ফ্রিজ সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। বেশির ভাগ সময় পুরনো ফ্রিজের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটতে পারে। এই ক্ষেত্রে, কুল্যান্ট টপ আপ করিয়ে নেওয়া যেতে পারে।