বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং প্লাটফর্ম হল WhatsApp। আর সেই জনপ্রিয়তার কারণেই এর উপর নজর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধীদের। সে সব দিক বিবেচনা করেই WhatsApp-এ ব্যবহার করা হয় এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ফিচার, যা WhatsApp ইউজারদের বাড়তি সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। কিন্তু এর বাইরেও WhatsApp-এ বাড়তি সুরক্ষা দেওয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপায়। WhatsApp ইউজাররা নিজেদের চ্যাটকে আরও সুরক্ষিত রাখতে এই পাঁচটি উপায় করতে পারে। এক নজরে দেখে নিন WhatsApp কে সুরক্ষিত রাখার পাঁচটি উপায়।
টু স্টেপ ভেরিফিকেশন - WhatsApp ইউজারদের সবার আগে এই টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন করা দরকার। WhatsApp-এর সেটিংস অপশনে গেলে এই টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন অপশন পাওয়া যাবে। এটি WhatsApp ইউজারদের একটি বাড়তি সুরক্ষা প্রদান করে। এর ফলে সবার আগে WhatsApp এর ইউজারদের টু স্টেপ ভেরিফিকেশন এনাবেল করা দরকার। এটি WhatsApp এর সেটিং অপশনে গিয়ে খুব সহজেই করা যায়।
অজানা লিঙ্ক - WhatsApp-এর ওপর বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধীদের নজর রয়েছে। এর ফলে তারা বিভিন্ন ধরনের লিঙ্ক ছড়িয়ে দেয় WhatsApp চ্যাটের মাধ্যমে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই নানা রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই কখনও অজানা কোনও লিঙ্কে ক্লিক করা উচিত নয়। এই ধরনের অজানা লিঙ্ক এলে সঙ্গে সঙ্গে সেই অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া দরকার।
প্রোফাইল পিকচার — বর্তমানে সাইবার অপরাধীরা একটি নতুন উপায় অবলম্বন করেছে। তারা WhatsApp-এর প্রোফাইল পিকচার নিয়ে অন্য অ্যাকাউন্ট খুলে আপনার নাম করে চালিয়ে যেতে পারে প্রতারণা। এটি শুধু WhatsApp-এর ক্ষেত্রে হচ্ছে না, অন্য বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপে দেখা দিয়েছে এই ধরনের জালিয়াতি। এর ফলে WhatsApp এর প্রোফাইল পিকচার অজানা ব্যক্তিদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা দরকার। এটি WhatsApp-এর সেটিংয়ে গিয়ে খুব সহজেই করা যায়।