

নতুন বছরে এবার বাধ্যতামূলক হতে চলেছে FASTag। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে গাড়িতে অবশ্যই থাকতে হবে FASTag স্টিকার। কিন্তু কী ভাবে রিচার্জ করা যাবে FASTag? FASTag কেনার পদ্ধতি কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে!


কী এই FASTag?এই ব্যবস্থায় গাড়িতে FASTag স্টিকার লাগিয়ে রাখতে হয়। আসলে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিটি গাড়িকে পৃথক বারকোড দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। যা সেই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তথ্য এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকে। লেনের মধ্যে দিয়ে গাড়ি গেলে অ্যাকাউন্ট থেকে টোলের নির্দিষ্ট টাকা কেটে যাবে।


FASTag-এর সুবিধা কী? রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) প্রযুক্তিতে কাজ করবে FASTag। টোল প্লাজার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সেই ট্যাগ স্ক্যান হলেই পাসিং গেট খুলে যাবে। ন্যাশনাল হাইওয়েজ ফি রুল ২০০৮ অনুযায়ী, টোল প্লাজাতে কিছু লেন রয়েছে, যা FASTag ব্যবহারকারীদের জন্য বরাদ্দ। এই লেনে এগিয়ে গেলে FASTag নিজে থেকেই ডিটেক্ট হয়ে যাবে। এবং পেমেন্ট হয়ে যাবে। গাড়ি থামানোর প্রয়োজনও পড়বে না। টোল প্লাজায় এই ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম সময় বাঁচানোর পাশাপাশি সামগ্রিক প্রক্রিয়াকেও আরও সহজ করে তুলবে। টোল প্লাজায় ভিড়ও কমবে।


কী ভাবে কেনা যাবে FASTag? একাধিক অপশন রয়েছে। যদি নিজের গাড়ির জন্য কেউ FASTag কিনতে চান, তাহলে টোল প্লাজা থেকে নির্দিষ্ট স্কিমের FASTag কিনতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি আবশ্যক KYC প্রক্রিয়াকরণ রয়েছে। অনলাইনেও কেনা যেতে পারে। এগুলি ছাড়াও HDFC ব্যাঙ্ক, ICICI ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, কোটাক ব্যাঙ্ক বা Axis ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে গাড়ির মালিকদের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে যেতে হয়।


FASTag কিনতে কত খরচ পড়বে? দু'টি বিষয়ের উপরে নির্ভর করছে FASTag কেনার খরচ। এক্ষেত্রে কোন ধরনের গাড়ি অর্থাৎ জিপ, ভ্যান, বাস, ট্রাক, লাইট কমার্সিয়াল ভেহিকেল না কোনও কনস্ট্রাকশন মেশিন কেনা হচ্ছে, তা দেখে নিতে হবে। তার পর যে ব্যাঙ্ক থেকে FASTag কেনা হবে, সেই ব্যাঙ্কের পলিসি, সিকিওরিটি ডিপোজিট, ইস্যু ফি দেখে নিতে হবে।


এক্ষেত্রে Paytm থেকে মাত্র ৫০০ টাকায় একটি চার চাকার গাড়ির জন্য FASTag কেনা যেতে পারে। এই ৫০০ টাকার মধ্যে রিফান্ডেবল সিকিওরিটি ডিপোজিট হিসেবে ২৫০ টাকা ও মিনিমাম ব্যালেন্স হিসেবে ১৫০ টাকা লাগবে। যদি কেউ ICICI ব্যাঙ্ক থেকে FASTag কেনেন, তাহলে ট্যাগ ইস্যু ফি হিসেবে ৯৯.১২ টাকা দিতে হবে। এছাড়া ডিপোজিট মানি ও মিনিমাম ব্যালেন্স হিসেবে ২০০ টাকা করে দিতে হবে।


কী ভাবে রিচার্জ করা যাবে FASTag? বিষয়টি খুবই সহজ। এক্ষেত্রে দু'টি অপশন রয়েছে। প্রথমে ব্যাঙ্কের তৈরি FASTag ওয়ালেটটি ব্যবহার করতে হবে। তার পর ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের সাহায্যে রিচার্জ করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও UPI, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা পেমেন্ট মোড ব্যবহার করা যাবে। যদি Paytm বা PhonePe-র মতো কোনও মোবাইল ওয়ালেট অ্যাপ থাকে, তাহলে সেখান থেকেও রিচার্জ করা যাবে।