

অক্সফোর্ড ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড (Covishield) আর ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন (Covaxin) তো এই দেশে প্রয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পেয়েই গিয়েছে! সরকারি তরফে জানা গিয়েছে যে খুব তাড়াতাড়িই এ বার সুরু হয়ে যাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার পালা!


তবে তার আগে Co-WIN অ্যাপ নিয়ে দু'চার কথা জেনে না নিলেই নয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে ভারত সরকারের তরফে এই অ্যাপটি লঞ্চ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে Co অর্থে কোভিড ১৯ এবং WIN অর্থে তাকে জয় করার মানসিকতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে নামকরণে। সরকারের সতরফেও জানানো হয়েছিল যে সারা দেশের কোভিড ভ্যাকসিন প্রয়োগের ব্যাপারটি সম্পর্কে কাজ করে চলবে এই অ্যাপ। যা Google Play Store এবং Apple App Store থেকে ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে অ্যান্ড্রয়েড আর iPhone-এ। অন্য দিকে, Jio ফোনের KaiOS-এ চলবে এই অ্যাপ!


ইলেকট্রনিক ভ্যাকসিন ইনটেলিজেন্স নেটওয়ার্কের আপগ্রেডেড ভার্সন এই Co-WIN অ্যাপ খবর মোতাবেকে ৫টি মডিউলে কাজ করবে। এগুলি হল- অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মডিউল, রেজিস্ট্রেশন মডিউল, ভ্যাকসিনেশন মডিউল, বেনেফিসিয়ারি অ্যাকনলেজমেন্ট মডিউল এবং রিপোর্ট মডিউল। এ বার এক এক করে দেখে নেওয়া যাক কোন মডিউল ঠিক কোন ভূমিকা পালন করবে!


দেশবাসীদের মধ্যে যাঁরা স্বেচ্ছাসেবী নন, তাঁরা রেজিস্ট্রেশন মডিউলের মাধ্যমে নিজেদের নাম ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্টার করতে পারবেন এই অ্যাপ মারফত। এ ক্ষেত্রে ফটো আইডেন্টিফিকেশনের পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। যে তথ্যগুলো দিচ্ছেন দেশবাসীরা, সেখানে কোনও ভুলভ্রান্তি থেকে যাচ্ছে কি না, তা পরখ করে দেখবেন অ্যাডমিনরা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মডিউলের মাধ্যমে।


ভ্যাকসিনেশন মডিউল ভ্যাকসিন প্রয়োগসংক্রান্ত ব্যাপারের নানা আপডেট সরবরাহ করবে। বেনেফিসিয়ারি অ্যাকনলেজমেন্ট মডিউল যাঁরা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন তাঁদের প্রয়োজনীয় SMS পাঠাবে এবং ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গেলে QR কোডের মাধ্যমে অনলাইন সার্টিফিকেট পাঠাবে। সব মিলিয়ে দেশে ক'টি ভ্যাকসিন প্রয়োগের সেশন অনুষ্ঠিত হল, তার হিসেব দেবে রিপোর্ট মডিউল। পাশাপাশি, দেশে মোট কতজন মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানটাও সবার নজরে নিয়ে আসবে রিপোর্ট মডিউল।