

এই ঘটনা নতুন করে প্রমাণ করে দিল যে ভারতের (India) মতো দেশে জনতার ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Information) কোনও দিক থেকেই সুরক্ষিত নয়! না হলে একই সঙ্গে ৭০ লক্ষ ভারতীয় জনতার ক্রেডিট (Credit Card) আর ডেবিট কার্ডে (Debit Card) থাকা ব্যক্তিগত তথ্য ইন্টারনেটে আপলোড হয়ে যায় না!


সম্প্রতি এই আতঙ্কের খবরটি News18-এর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন স্বাধীন ভাবে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করে চলা সমীক্ষক রাজশেখর রাজাহারিয়া। তিনি জানিয়েছেন যে ডার্ক ওয়েব (Dark Web) নামে এক প্ল্যাটফর্মে এই সব তথ্য আপলোড করা হয়েছে। যা অনলাইনে অন্যের তথ্য নিজের বলে চালানো, অন্যের তথ্য ব্যবহার করে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরির মতো সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) বাড়িয়ে তুলতে পারে।


তিনি যে কোনও ভুয়ো তথ্য দিচ্ছেন না, এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য রাজাহারিয়া ডার্ক ওয়েব থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি ফোল্ডার News18-এর দফতরে জমা করেছেন। ১.৩ জিবি মেমোরির ওই ফোল্ডারে সাকুল্যে ৫৮টি স্প্রেডশিট রয়েছে। ব্যাঙ্ক বা শহরের নাম দিয়ে আলাদা করা এই ৫৮টি স্প্রেডশিটের একেকটিতে সহস্রাধিক তথ্য জমা করা আছে।


এই জায়গায় এসে জানিয়ে রাখা ভালো, ওই স্প্রেডশিটগুলোতে অবশ্য সম্পূর্ণ ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড নম্বর লেখা নেই। এমন কোনও নম্বরও লেখা নেই যা থেকে সহজেই ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের নম্বর বের করে নেওয়া যেতে পারে। পরিবর্তে এই স্প্রেডশিটগুলোতে কার্ডব্যবহারীদের ফোন নম্বর, তাঁদের কার্ড কী ধরনের, তাঁদের আয়ের ধরন এবং বার্ষিক উপার্জনের পরিমাণ, জন্মতারিখ, বসবাসের শহর এই সব তথ্য জমা করা হয়েছে। পাশাপাশি, কিছু ক্ষেত্রে পরিচয় নির্ণায়ক তথ্যাদিও উঠে এসেছে। যা দেখে মনে হয়, ব্যাঙ্ক (Bank) কোনও কাজের জন্য এই সব তথ্য কোনও তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে শেয়ার করেছিল যেখান থেকে তা হ্যাক করা হয়েছে!


এই ধরনের তথ্য কোনও হ্যাকার বা অপরাধী গোষ্ঠী কিনতে চাইবে কি না, তা তাদের কতটা উপকারে আসবে- এ নিয়ে সামান্য হলেও খটকা থেকে যায়। তবু রাজাহারিয়া জানিয়েছেন যে বিষয়টা নিয়ে সজাগ থাকার উদ্দেশ্যে তিনি দেশের সাইবার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের (CERT-In) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের কাছ থেকে কোনও রকম সাড়া মেলেনি। News18-এ এ বিষয়ে সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সংস্থার সদস্যেরা এ বিষয়ে মুখ খোলেননি!