Rinku Singh: ঝাড়ুদার, অটোওয়ালা! ক্লাস নাইন ফেল রিঙ্কু সিং ক্রিকেটার হওয়ার আগে কী না করেছেন!

সোনার তো দূর, একটা লোহার চামচ মুখে নিয়েও তিনি জন্মাননি। তবে নিজেকে সোনার থেকে দামি করে গড়ে তুলেছেন রিঙ্কু সিং। এখন কেকেআর-এর এই ক্রিকেটারের নাম সমর্থকদের মুখে মুখে।

ক্রিকেটার মানেই ঝা চকচকে একটা ব্যাপার। তবে রিঙ্কু ঠিক তেমন নন। দেহাতি চেহারা, কথাবার্তার জন্য তাঁকে অবজ্ঞা করেছেন অনেকেই। এমনকী, তাঁকে কেকেআর-এর ওয়াটার বল বলেও ডাকা শুরু হয়েছিল। সেই রিঙ্কু বুঝিয়ে দিলেন, খেলার মাঠে একজন ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স শেষ কথা বলে।

রিঙ্কুর বাবা বাড়ি বাড়ি রান্নার গ্যাস সরবরাহ করেন। মাসে মেরেকেটে ৬-৭ হাজার টাকা উপার্জন। রিঙ্কুরা পাঁচ ভাই। তাই ছোট থেকেই রিঙ্কু বড় কিছু করবেন বলে ভেবেছিলেন। যাতে সংসারের হাল কিছুটা ফেরানো যায়!

জীবনের একটা সময় ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করেছেন। কখনও ভাইয়ের অটোরিক্সা চালিয়েছেন। রিঙ্কু সিং ক্রিকেটার হওয়ার আগে কী না করেছেন! আলিগড়ের ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার নিজেকে প্রমাণ করেছেন জীবনের প্রতিটি স্তরে।

ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়াশোনা রিঙ্কুর। তার পর আর স্কুলে যাননি। রিঙ্কু আশা করেছিলেন, আইপিএলে কোনও দল তাঁকে ২০ লাখ টাকা বেস প্রাইজে নেবে। তার পর তিনি ভাই, বোনের বিয়ের জন্য টাকা জমাবেন। আর পরিবারের থাকার জন্য একটা ভাল বাড়ি তৈরি করবেন।

রিঙ্কুদের বাড়িতে ২টি ঘর। পরিবারের সদস্য ৯ জন। কেকেআর যখন তাঁকে ৮০ লাখ টাকায় দলে নিয়েছিল, তখন রিঙ্কু হয়তো মনে মনে নিজের জীবনটাকে অন্যরকম ভাবতে শুরু করেছিলেন। সেই ভাবনায় সবার আগে ছিল পরিবার, আর একটা বড়সড় বাড়ি।