ইংল্যান্ড, ইতালি নাকি ফ্রান্স, মেসির পরের গন্তব্য কোথায়? তাঁকে দলে নিতে ঝাঁপাচ্ছে অনেক ক্লাবই
হঠাৎ নয়, বরং মেসি ঘনিষ্ঠদের দাবি, অনেক হতাশা থেকে বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্ক শেষের চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন ছ’বারের ব্যালন ডি’অরের রাজা লিও মেসি।


১৯৯.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। ইউরোপে এতদিন এটাই ছিল রেকর্ড টাকার বিনিময়ে কোনও ফুটবলারের ক্লাব বদলের কাহিনি। নেইমারের সেই রেকর্ডকে এবার ছাপিয়ে যেতে পারেন লিও মেসি। তাঁর বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্তের পর ইউরোপের দলবদলে দাম উঠল প্রায় দুশো মিলিয়ন পাউন্ড। মেসিকে দলে নিতে ইতিমধ্যেই মরিয়া ইংলিশ ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-সহ চারটি বড় ক্লাব। File Photo


গত ষোলো বছর ধরে মেসি মায়াতেই বুঁদ ন্যু-ক্যাম্প। ৩৩ বার লা-লিগা জয়, ৬ বার ইউরোপ সেরা হওয়া, মঙ্গলবারের পর থেকে সবই এখন অতীত হওয়ার মুখে। কোটি কোটি বার্সিলোনা সমর্থকের হৃদয় ভেঙে প্রিয় ক্লাব বার্সার সঙ্গে সম্পর্ক শেষের চরম সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন লিও মেসি। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় রাত সোয়া এগারোটা নাগাদ বার্সিলোনাকে পাঠানো মেসির ফ্যাক্স বার্তা.... ‘‘আমি বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমাকে এখনই ক্লাব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।’’


কিন্তু হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত কেন ? হঠাৎ নয়, বরং মেসি ঘনিষ্ঠদের দাবি, অনেক হতাশা থেকেই বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্ক শেষের চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন ছ’বারের ব্যালন ডি’অরের রাজা লিও মেসি। নেইমার পরবর্তী সময় থেকেই বার্সেলোনা কর্তাদের সঙ্গে তাঁর ঠোকাঠুকি শুরু হয়। বিশেষ করে দল গঠন, কোচ বাছাই নিয়ে মেসির সঙ্গে বারবার মতবিরোধ হয়েছে বার্সা প্রেসিডেন্ট বার্তেমিউয়ের। তবে ভস্মে ঘি পড়ল নতুন কোচ গুলিট-বাস্তেনদের একসময়ের সতীর্থ রোনাল্ড কোমানের সঙ্গে সংঘাতে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েই কোমান দলে মধ্যে মেসি আঁতাঁত ভাঙতে চেয়েছিলেন। তাই মেসিকে তাঁর নির্দেশ ছিল.... ‘‘স্কোয়াডে যে সব বিশেষ সুযোগ সুবিধা তুমি পেতে, সে সব আর পাবে না। তোমাকে এখন দলের জন্য সব কিছু করতে হবে। আমি এ ব্যাপারে অনড়। তোমাকে সব সময় ক্লাব নিয়েই চিন্তাভাবনা করতে হবে।’’


কোমানের এই নির্দেশ খুব সহজ ভাবে নিতে পারেননি ৩৩ বছরের আর্জেন্টাইন। এক মিনিটের মধ্যেই ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। আর তাতে বিপাকে বার্সেলোনার কর্তারা। কারণ, ‘‘ ২০২১ পর্যন্ত মেসির সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বার্সা। চুক্তির মেয়াদ শেষে ক্লাব ছাড়লে মেসির জন্য কোনও ট্রান্সফার ফি দিতে হবে না। কিন্তু এখনই যদি মেসিকে ছেড়ে দেওয়া হয়, তা-হলে ট্রান্সফার ফি বাবদ দিতে হবে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ইউরো। তাই আইনি ভাবে এখন মেসিকে আটকানোর চেষ্টায় বার্সা কর্তারা। তাতে মেসির মন আবার বার্সায় ফিরবে এমন গ্যারান্টি দিতে পারছেন না মেসি ঘনিষ্ঠরা। কারণ, ইতিমধ্যেই মেসিকে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইংলিশ ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ও ম্যাঞ্চস্টার ইউনাইটেড। তালিকায় আছে নেইমারের ক্লাব পিএসজি-ও। মেসির জন্য ছুটছে ইতালীয় ক্লাব ইন্টার মিলানও। ইতিমধ্যেই ইউরোপের দলবদলে মেসির দর উঠছে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড। যা রেকর্ড।