

এতদিন অধিকারীদের গড় হিসেবেই রাজনৈতিক মহলের কাছে পরিচিত ছিল পূর্ব মেদিনীপুর৷ কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি-তে যোগদানের পর সেই গড় দখলই এখন চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের কাছে৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই লক্ষ্যপূরণে তৃণমূলের ভরসা আরও এক পরিবার৷ রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি এবং তাঁর ছেলের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে দলে৷ (Info-Sujit Bhowmik)


অখিল গিরিকে আগেই দলের জেলার কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছিল৷ জেলা সভাপতি হয়েও শিশির অধিকারীকে কার্যত নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে৷ এবার অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় যুব তৃণমূলের সভাপতি করা হল৷ এতদিন রাজ্য তৃণমূলের যুব সহ সভাপতি পদে ছিলেন সুপ্রকাশ৷(Info-Sujit Bhowmik)


জেলা যুব সভাপতি পদে যিনি ছিলেন, সেই পার্থসারথী মাইতিকে রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে জেলায় গিরি পরিবারের দাপট আরও বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিল দল৷(Info-Sujit Bhowmik)


শুভেন্দুর দল ছাড়ার জল্পনা তৈরি হওয়ার পর পরই মেদিনীপুরের সভায় অখিল গিরির নাম শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে৷ তার পর কাঁথিতে তৃণমূলের সভার মূল উদ্যোক্তাও ছিলেন অখিল৷ বরাবরই জেলা তৃণমূলে অধিকারীদের বিরোধী হিসেবেই পরিচিত অখিল গিরি এবং তাঁর ছেলে সুপ্রকাশ৷(Info-Sujit Bhowmik)


আগামী ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ কিন্তু কয়েকদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হন অখিল গিরি৷ তার পরই মমতার সভা বাতিল করে দেয় তৃণমূল৷ দলের তরফে স্বীকার করেই নেওয়া হয়, অখিল গিরিকে ছাড়া এই মুহূর্তে নন্দীগ্রামে সভার আয়োজন সম্ভব নয়৷ এবার অখিল গিরির ছেলেকে জেলায় যুব তৃণমূলের সভাপতি করে অধিকারী পরিবারকে আরও চাপে ফেলার কৌশল নিল শাসক দল৷(Info-Sujit Bhowmik)


অখিল গিরির গুরুত্ব যে দলে কতটা বেড়েছে, দিন কয়েক আগে তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যায়৷ অখিল গিরি অভিযোগ করেন, বিজেপি-র হয়ে কাজ করছেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু৷ তার পরই সৌমেন্দুকে কাঁথির পুর প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেয় দল৷(Info-Sujit Bhowmik)