

শনিবার বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ওইদিনই শুভেন্দুর গড়ে যাবেন অমিত শাহ। শোনা যাচ্ছে, তাঁর উপস্থিতিতেই শুভেন্দুর দলবদল হবে। সূত্রের খবর যোগদানের আগে দিল্লিও যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। দেখা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। তাঁর আগে এদিন হলদিয়ার অরাজনৈতিক সভায় বোমা ফাটালেন শুভেন্দু। অতীতে কখনও এভাবে সরাসরি আক্রমণ হানতে দেখা যায়নি তাঁকে। কী বললেন শুভেন্দু, জানুন ছবিতে ছবিতে-


যে হলদিয়া উন্নয়ন পর্যদের সঙ্গে নাড়ির যোগ ছিল তাঁর, এদিন শুভেন্দু তোপ দাগেন তার বিরুদ্ধেই। বলেন,"হলদিয়া ভবনের প্রাসাদে আমি যেতাম না। কারণ বড় প্রাসাদের মতো বাড়িতে ওঠা-বসার অভ্যাস আমার নেই। হলদিয়া বন্দর সতীশ সামন্তের নামে করা হবে। আজ না হলেও কাল করা হবে। সতীশ সামন্ত কে বহিরাগত বলে ভাবতেন না। জওহরলাল নেহেরু ভাবতেন না।"


নন্দীগ্রাম গণআন্দোলনের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। গত এক দশক এমন কথাই শোনা গিয়েছিল শুভেন্দুর মুখে। এদিন তিনি বললেন, "আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা প্রথমে ভারতীয় তারপর বাঙালি ভারতকে বাদ দিয়ে বাংলা নয়।।নন্দীগ্রাম আন্দোলনে কোন দলের, কোনো ব্যক্তির ছিল না।"


ভবিষ্যতের রূপরেখা নির্ধারণ করে শুভেন্দু বলেন, আমরা ভালো কাজের জন্যে লড়ব। বেকার যুবকের কর্মসংস্থান, কৃষকের অধিকার দেখব। আমাদের কেউ রুখতে পারবে না। তাঁর প্রশ্ন, "কেন for the party, by the party অবস্থা থাকবে।যারা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছেন।তারা শুনুন। আমি অনেক লড়াইয়ের সাক্ষী। আমায় এখানে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমার ওপর ১১ বার আক্রমণ হয়েছে।"


মন্ত্রীত্ব ছেড়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনেই শুভেন্দু বললেন, "শুভেন্দু কোনও পদের লোভ করেন না। আমি মন্ত্রী ছাড়ার পরেও আমার সভায় লোক আসে। এই লোককে সিপিএম, বিজেপি, টি এম সি আনেনি। এই জনগণের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক।শুধু ভাষণ দিলে হয় না, রেশন দিতে হয়।"