

একটু একটু করে শীত কমতে শুরু করেছিল। সকাল থেকেই কুয়াশা উধাও। তার বদলে রোদের তেজ বাড়ছিল দিন দিন। সন্ধ্যের পর তেমন শীত অনুভূত হচ্ছিল না। এই পরিস্থিতির মধ্যে ঝড় বৃষ্টির দেখা মিলল বর্ধমানে। শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ বেশ কিছুক্ষণ ধরে ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। বেশ কয়েক মিনিটের এই ঝড়ের জেরে বর্ধমান শহরের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এরপর মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়-বৃষ্টির হাত ধরে রাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাওয়ায় ফের জাঁকিয়ে শীত অনুভব করা গিয়েছে।


সরস্বতী পুজোর সপ্তাহ দেড়েক আগেই শীত বিদায় নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ায় মনমরা হয়ে পড়েছিলেন অনেকেই। তাদের মতে, অন্য কয়েক বছর গড়িয়ে গড়িয়ে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শীতের আমেজ মিলছিল। কিন্তু এবার তার অনেক আগেই শীত বিদায় নিতে চলেছে বলে আভাস মিলছে। তবে শনিবার রাতে ঝড় বৃষ্টির ফলে আগামী কয়েক দিন শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। এদিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েক দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই থাকবে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে পূর্বাভাস মিলেছে।


ঝড়-বৃষ্টির হাত ধরে শীত আরও কয়েক দিন স্থায়ী হবে বলে আশা করছেন রাজ্য শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা। তাঁরা বলছেন, শীত যত দীর্ঘ হবে ততই আলুর ফলন বাড়বে। ঠান্ডা থাকলে শীতকালীন সবজির ফলনও ভালো হয়। কিন্তু এবার কিছুটা আগেই শীত বিদায় নিতে চাওয়ায় আলু চাষ বাঁচানো নিয়ে চিন্তা হচ্ছিল। কারণ হঠাৎ করে ঠান্ডা বিদায় নিয়ে গরম পড়ে গেলে আলুতে ধসা রোগের আশঙ্কা থেকে যায়। তাই শীত আরও কিছুদিন স্থায়ী হোক এমনটাই চাইছেন কৃষকরা।