

গণতকার নন৷ নিজেই জানিয়েছিলেন এ কথা৷ তবু তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেল৷ হয়তো মেলারই ছিল৷ কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর বাকি ভবিষ্যদ্বাণীও কি মিলবে? রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিত্ব ত্যাগের পর এখন সেই আতঙ্কই বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসে৷ (Info-Abir Ghosal)


গত বুধবার চন্দননগরে জনসভা করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ সেই সভা থেকেই তিনি বলেন, 'রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বেসুরো৷ আজ সকালে টিভিতে দেখলাম প্রবীর ঘোষালও বেসুরো৷ সবাইকে বলছি কর্মচারী হিসেবে থাকতে চাইলে তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে থাকুন৷ আর সহকর্মী, সহযোদ্ধা, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাইলে বিজেপি-তে আসুন৷ ' (Info-Abir Ghosal)


এর পরই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শুভেন্দু বলেন, 'আমি গণতকার নই। তবে অনেকেই চাইছেন বেরিয়ে আসতে। আস্তে আস্তে দেখুন কি হয়। আদর্শ আচরণ বিধি ঘোষণা হওয়ার পরে আরও চমক থাকবে।' (Info-Abir Ghosal)


বুধবার শুভেন্দুর এই মন্তব্যের আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যদিও এই পদক্ষেপ প্রত্যাশিতই ছিল৷ কিন্তু যেভাবে শুভেন্দু সহ বাকি বিজেপি নেতারা শাসক দলে আরও ভাঙন ধরানোর দাবি করছেন, তাতেই উদ্বেগ বাড়ছে শাসক শিবিরে৷ (Info-Abir Ghosal)


বুধবার উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের নাম শোনা গিয়েছিল শুভেন্দুর গলায়৷ পাশাপাশি সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ছেলেও বিজেপি-তে যোগ দেবেন বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ রাজ্য বিজেপি-র অন্যান্য নেতাদের গলায় অবশ্য একাধিক তৃণমূল বিধায়ক, সাংসদ নাম বিভিন্ন সময়ে শোনা গিয়েছে৷ (Info-Abir Ghosal)


তবে প্রকাশ্যে এ নিয়ে উদ্বেগ না দেখানোর কৌশলই নিয়েছে শাসক দল৷ বরং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় বৈঠকে বার্তা দিয়েছেন, যাঁরা চলে যেতে চান যেতেই পারেন৷ শুধু তাই নয়, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের অন্যতম বৈশালী ডালমিয়াকে শুক্রবার বহিষ্কার করে কড়া বার্তাও দিতে শুরু করেছে দল৷ (Info-Abir Ghosal)