

ভোটের আগে প্রথম রাজনৈতিক সভা। মঞ্চ থেকে মোদি প্রমাণ করতে চাইলেন. স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলার ইতিহাসটা আসলে ব্যর্থতার এক গৌরবজ্জল অধ্যায়ের ক্রমিক মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই ইঙ্গিত মোদির। ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধারের জন্যই চাই পরিবর্তনের পরিবর্তন, সুরটা বাঁধলেন এভাবেই। তৃণমূলের পাশাপাশি বিঁধলেন বাম কংগ্রেসকেও। বললেন, আড়ালে আবডালে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা চলছে বাম কংগ্রেসের।


কথাবার্তার শুরুতেই এদিন ইতিহাসের লেন্সে চোখ রাখেন মোদি। বাংলা ও বাঙালির জয়জয়কারের শুরুতে মোদির বার্তা, গোলামির দিনগুলিতে পশ্চিমবঙ্গ দেশের সবচেয়ে এগিয়ে থাকা রাজ্য ছিল। এখানে সব ধরনের পরিকাঠামো তখনও মজুত ছিল। এখানের কৃষিজীবিরা পরিশ্রমী, জমি উর্বর। আজও বাঙালি যে সম্মান পায়, তা সেই অততীতের জন্য। তার প্রশ্ন, "কেন আমরা সেইটা ধরে রাখতে পারলাম না? হলদিয়ই বা কেন বন্দর হিসেবে পিছিয়ে পড়ল অন্য রাজ্যের তুলনায়? মোদি বলছেন, এখানে আধুনিকতা চাই। বদল চাই। কিন্তু সরকার কত কারখানা খুলেছে?" নিজেই উত্তর খুঁজে বললেন, পশ্চিমবঙ্গ আটকে আছে রাজনীতির ফাঁসে। কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, তৃণমূল তিনটি দলই বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছে।


সরাসরি পাঁচ বছরের জন্য মসনদ দাবি করে মোদি বলেন, গোপন বন্ধুত্বের বিষয়ে সতর্ক হোন এখনই। দিল্লিতে বাম কংগ্রেস তৃণমূল একসঙ্গে বসে রণকৌশল তৈরি করে। কেরলেও এভাবে সমঝোতা করেই লুঠপাট চালায় বাম কংগ্রেস। এখানেও এই একই রণকৌশল। এদের সমর্থন করলে আপনি বিশ্বাসঘাতকতার স্বীকার হবেন।


তৃণমূলের ভুল ধরতে গিয়ে মোদির তোপ, রেশন কার্ড প্রকল্প চালু হয়নি। তাঁর অভিযোগ রাজ্য সরকারি কর্মীরা নাকি সঠিক সময়ে বেতন পান না। পাশাপাশি আমফান দুর্নীতি নিয়েও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এই রাজ্য নয়া শিক্ষানীতিও কার্যকর করেনি। তাঁর ক্ষোভ আযুস্মান যোজনা চালু না হওয়া নিয়ে। পাশাপাশি আশ্বাস বিজেপির সরকার গঠিত হলেই মিলবে কিষাণ সম্মাননিধি।