

আদিবাসীদের ভাবাবেগ নিয়ে রাজনীতি করতে এসেছিল ওরা। খেয়ে পালাল। চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েও কিছু করল না। বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে অমিত শাহকে ফের আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আক্রমণের জবাবে সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা তোপ বিজেপির- ‘মমতা কিছুই জানেন না।’


বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিভীষণ হাঁসদার অসুস্থ মেয়ের দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ আশ্বাস দিয়েও কিছু করেনি বিজেপি ৷ অমিত শাহকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওরা তো রাজনীতি করতে এসেছিল, খেয়ে পালিয়েছে। মেয়েটার চিকিৎসা করবে বলেছিল করেনি। আমরা করছি ৷’


কে পালাল খেয়ে ? কার মেয়ের চিকিৎসা হল না বলে হাল ধরতে বাধ্য হলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে কে, তা বুঝতে হলে রিওয়াইন্ড করতে হবে চলতি মাসের ৫ তারিখে। কী ঘটেছিল ৫ই নভেম্বর ?রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে, এই ৫ তারিখই বাঁকুড়ায় ভোট প্রচারে এসেছিলেন অমিত শাহ।সেদিন অমিত শাহ মধ্যাহ্নভোজ সারেন বাঁকুড়ার এক আদিবাসী পরিবার, বিভীষণ হাজরার বাড়িতে। আশ্বাস দেন বিভীষণ হাজরার মেয়ের চিকিৎসার ভার নেবে বিজেপি। চিকিৎসা হবে এইমস-এ। আর তার পর থেকেই সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল।


মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকেই তাই অমিত শাহ-র আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজনকে এবং চিকিৎসার আশ্বাসকে স্রেফ রাজনৈতিক কৌশল বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা তোপ বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের। তিনি বলেন, ‘মমতা কিছুই জানেন না।’ এখন দায়ে পড়ে এসেছেন, ভোটের উত্তাপে হাওয়া গরম বাঁকুড়া ৷’


গতকাল বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহের বাংলা সফরকে নিশানা করে বলেছিলেন, ‘দলিত বাড়িতে বসে ফাইভস্টার থেকে আনা খাবার খেলেন ৷ আদিবাসী পরিবারের দালান রঙ করে, স্যানিটাইজ করে আসে। রান্নার সময় কাটা হচ্ছিল ধনে পাতা। তিনি খেলেন পোস্তর বড়া। মানুষ এখন সব দেখতে পায়। লোক দেখানো সফরে ভোলে না ৷’ যদিও এই বক্তব্য অস্বীকার করেছেন বিভীষণ হাঁসদা ৷ তিনি বলেন, বাড়িতেই তৈরি হয়েছিল ডাল, ভাত। কাঠের উনুনে মাটির পাত্রে সেসব রেঁধেছিলেন বাড়ির মেয়ে বউরাই ৷ তবে সুগারের পেশেন্ট, অসুস্থ বিভীষণ হাঁসদার মেয়ে ৷ আদিবাসী পরিবারটি শাহকে জানিয়েছিলেন সেকথা বলে দাবি ৷