

ছোট ছোট মাটির বাড়ি, দেওয়ালে আঁকা রেখাচিত্র ৷ মাটির দাওয়াতেই এলাহি আয়োজন ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জন্য ভোজ বলে কথা ৷ কর্মসূচি অনুযায়ী বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবনে প্রথম দফার দলীয় বৈঠক সেরে চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে দুপুরের খাওয়া সারতে এলেন বিজেপি শীর্ষ নেতা অমিত শাহ ৷


পাতে বাঙালি মেনু। মাথায় ভোটের মেনু। বাঁকুড়ার চতুরডিহিতে আদিবাসী পরিবারে লাঞ্চ সারলেন অমিত শাহ। লাঞ্চের পর এল অপ্রত্যাশিত উপহার। অমিত শাহের হাত-মুখ মুছিয়ে দিলেন আদিবাসী পরিবারের এক এক সদস্য। এদিন দুপুরে পাড়ায় পা পড়তেই শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনিতে বরণ করে নেওয়া হয় শাহকে ৷ আদিবাসী সংস্কৃতি মেনেই স্বাগত জানানো হয় তাকে।


বাড়ির সামনে পাতা খাটিয়ায় বসে খানিক জিরিয়ে নিতে না নিতেই ডাক পড়ল খাওয়ার ৷ ততক্ষণে অবশ্য আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সঙ্গেই কথা হয়ে গিয়েছে ৷


ভিতরে গিয়ে দেখা গেল মাটির দাওয়াতে খেজুর চাটাইয়ে বসার আয়োজন ৷ সামনে কলাপাতা সাজিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম শীর্ষ নেতাকে পরিবেশন করা হল ভাত, ডাল, বেগুনভাজা, আলু ভাজা, আলুপোস্ত, পোস্তর বড়া, চাটনি, পাপড় ৷ শেষপাতে ছিল বাঁকুড়ার স্পেশাল মিষ্টি ৷ হাঁসদা পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আদিবাসী মহিলারাই শাহকে খাবার পরিবেশন করেন ৷


তৃপ্তির মধ্যাহ্নভোজে শাহকে সঙ্গে দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গী ও আরও অনেকে ৷ পুরো ব্যবস্থার তদারকির ভার ছিল সৌমিত্র খাঁয়ের উপর ৷