

শনিবার, ২৭ মার্চ রাজ্যের তিরিশ আসনে নির্বাচন৷ তার মধ্যে আটটি আসন এমন রয়েছে, যেগুলির দিকে বাড়তি নজর রাখতেই হচ্ছে৷ কারণ হয় সেখানে রয়েছেন তারকা প্রার্থী নয়তো এই আসনগুলির রাজনৈতিক সমীকরণই আলাদা কৌতূহল তৈরি করেছে মানুষের মধ্যে৷


কাঁথি উত্তর এবং কাঁথি দক্ষিণ- তারকা প্রার্থী কেউ না থাকলেও প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী এবং দিনকয়েক আগে শিশির অধিকারীর বিজেপি-তে যোগদানের পর গোটা পূর্ব মেদিনীপুরের ফলাফল নিয়ে এ রাজ্য তো বটেই, গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলেই আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে৷ নিজেদের গড় কাঁথির দুই কেন্দ্র শাসক দল তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নেওয়াও অধিকারী পরিবারের বড় পরীক্ষা৷ লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী অবশ্য দুই কেন্দ্রেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷


রামনগর- শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগদানের পর জেলায় তৃণমূলের সংগঠনকে ধরে রাখতে অখিল গিরির উপরেই বড় ভরসা করছে দল৷ সেই অখিল গিরিই রামনগরে তৃণমূলের প্রার্থী৷ বরাবরই অখিল গিরির সঙ্গে অধিকারী পরিবারের সম্পর্কে তিক্ততা রয়েছে৷ তাই এই আসনে বিজেপি-কে শুভেন্দু জেতাতে পারেন, নাকি নিজের গড়ে অখিল গিরি শেষ হাসি হাসবেন, তাও ঠিক হবে শনিবার৷ লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এই কেন্দ্রে কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল তৃণমূল৷


মেদিনীপুর- এই কেন্দ্র থেকে এবার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জুন মালিয়াকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ জুন মালিয়া প্রার্থী হওয়ায় এই কেন্দ্রটিকে ঘিরে আমজনতার আগ্রহ আরও বেড়ে গিয়েছে৷ লোকসভা নির্বাচনের ফল অবশ্য বলছে, এই কেন্দ্র থেকে ১৬ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি৷ ফলে কাজটা কঠিন জুনের৷


শালবনি- বরাবর গড়বেতা থেকে লড়লেও এবার শালবনি কেন্দ্র থেকে লড়ছেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ৷ তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী শালবনি কেন্দ্রের দু' বারের বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো৷ তবে লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে জঙ্গলমহলের এই আসনেও দু' নম্বরে উঠে এসেছিল বিজেপি৷ তবে এগিয়ে ছিল তৃণমূলই৷


ঝাড়গ্রাম- এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের প্রার্থী সাঁওতালি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিরবাহা হাঁসদা৷ এর আগে ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনে লড়লেও জয়ের মুখ দেখেননি বিরবাহা৷ ঝাড়গ্রামে তাঁর শিঁকে ছেঁড়ে কি না, তা জানা যাবে ২ মে৷ বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারীর শক্ত ঘাঁটি ঝাঁড়গ্রামেও অবশ্য কঠিন পরীক্ষা বিরবাহার৷ লোকসভা ভোটের ফল অবশ্য বলছে, এই কেন্দ্রেও সামান্য হলে এগিয়ে বিজেপি৷


বলরামপুর- পুরুলিয়ার বলরামপুর কেন্দ্র থেকে এবারও লড়ছেন রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো৷ তবে এবারে কাজটা যথেষ্ট কঠিন প্রবীণ এই মন্ত্রীর৷ কারণ লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী, বলরামপুর কেন্দ্র থেকে ৩৫ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি৷