International River Day: ছবিতে আন্তর্জাতিক নদী দিবস

১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদী দিবস। দিনটি মাথায় রেখে মঙ্গলবার সুন্দরবনজুড়ে দেওয়া হল নদী বাঁচানোর বার্তা। আর তাতে সামিল হল ছাত্র-ছাত্রীরা

১৯৮০ সাল থেকে ১৪ মার্চ দিনটি আন্তর্জাতিক নদী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। সারা বিশ্বজুড়েই এই দিনে নদী বাঁচানো এবং নদীর বাস্তুতন্ত্র নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়।

গোটা সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে আছে অসংখ্য নদী। কিন্তু আবহাওয়া বদলে যাওয়া এবং মানুষের একের পর এক হঠকারী কাজের জন্য এখানকার বহু নদী ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গোটা সুন্দরবন।

আন্তর্জাতিক নদী দিবসে সুন্দরবনের নদীগুলিকে বাঁচাতে সচেতনতা ছড়ানোর পদক্ষেপ করা হয়। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এখানকার জেলে, পর্যটক, সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে নদী বাঁচানোর জন্য করনীয় কী তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে

১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদী দিবস পালন করা হয় সুন্দরবনের কুলতলি বিট অফিসে।

সুন্দরবন ও পরিবেশ রক্ষা এবং নদী বাঁচানোর বিষয়ের উপর বুন দফতরের উদ্যোগে কুলতলি বিট অফিসে আয়োজিত হয় বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। সুন্দরবনের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে

প্রতিযোগিতা শেষে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতা স্থলে নদী বাঁচানোর বার্তা তুলে ধরা হয় প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে। বনবিভাগের কর্মী, প্রশাসনিক আধিকারিকরাও ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি এই বার্তা তুলে ধরেন সবার সামনে

বসে আঁকো প্রতিযোগিতা শেষে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে নদী ভ্রমণের বের হন বনকর্তারা। ছাত্রছাত্রীরা নদীর পাড়ে গিয়ে সকলকে এই দিনটির গুরুত্ব এবং নদীর সংরক্ষণের উপায় ব্যাখ্যা করে। প্লাস্টিক কীভাবে সুন্দরবনের ক্ষতি করছে, এখানকার নদীগুলিকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাও তুলে ধরা হয়। জেলে ও পর্যটকদের প্লাস্টিক ব্যবহার করতে নিষেধ করে তারা।

শুধু সুন্দরবন নয়, এই গোটা বাংলাকেই নদীবিধৌত অঞ্চল বলে ব্যাখ্যা করা হয়। প্রাচীনকালে যে কটি সভ্যতা গড়ে উঠেছিল তা সবই নদীর কূলে গড়ে ওঠে। কিন্তু আমাদেরই হঠকারী কাজকর্মের ফলেই ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাচ্ছে নদীর স্রোত। তাই সময় এসেছে সকলের সচেতন হওয়ার।