Digha: ছবি না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করতে পারবেন না! দিঘার পর্যটকরা কোথায় গায়েব, হতবাক সকলে

দিঘা: তীব্র গরম ও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে ছুটির দিনে কার্যত ফাঁকা দিঘা সমুদ্র সৈকত। মে মাসের শুরুতে দিঘায় ব্যাপক ভিড় দেখা গেলেও, এক সপ্তাহ পরেই কার্যত অন্য ছবি। (প্রতীকী ছবি)

৯ মে মঙ্গলবার জনকোলাহলহীন দিঘা সমুদ্র সৈকত পরিণত হয়েছে। এবার ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এদিন শক্তি বাড়িয়ে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। (প্রতীকী ছবি)

১০ তারিখ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। অবস্থান করবে দক্ষিণ ও পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে। ঘূর্ণিঝড় মোকা স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলায় বেড়েছে তাপমাত্রা।(প্রতীকী ছবি)

ইয়াস, আমফানের ভয়াবহ স্মৃতি এখনও মুছে যায়নি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষজনের মনে। কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছিল দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের জনজীবন।(প্রতীকী ছবি)

তাই এবার আগে থেকে প্রস্তুত জেলা প্রশাসন। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি ব্লকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার বিশেষ মহড়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে বিশেষ সতর্ক পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তীব্র জলোচ্ছ্বাসে কার্যত ধুয়ে মুছে গিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলীয় জনজীবন। (প্রতীকী ছবি)

ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা সহ ও সমুদ্র উপকূল অঞ্চল গুলি।
বিগত বছর গুলিতে মে মাসে আমফান, ইয়াস ঝড়ের প্রভাবে দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি, খেজুরি, নন্দীগ্রাম, হলদিয়া সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গা ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছিল। (প্রতীকী ছবি)

মোকা ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা সহ সর্বত্রই বেড়েছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা আরও বাড়বে।(প্রতীকী ছবি)

একদিকে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসে দিঘায় কার্যত ফাঁকা সমুদ্র সৈকত। স্কুলে স্কুলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি পড়েছে। এই সময়ে সাধারণত দিঘায় সমুদ্র সৈকত জনমুখর হয়ে ওঠে এবারে তার যেন ব্যতিক্রমী চিত্র ফুটে উঠল। (প্রতীকী ছবি)

প্রখর রোদ ও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসের কারণে পর্যটকেরা দিঘা বিমুখ। সপ্তাহ শেষে কিছু পর্যটকে দেখা পাওয়া গেলেও অন্যান্য দিন পর্যটকের দেখা নেই দিঘায়।(প্রতীকী ছবি)

এ বিষয়ে দিঘা শঙ্করপুর হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জানান, দিঘায় গরমের ছুটিতে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন কমছে। তার ওপর ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস। সপ্তাহ শেষে শনি রবিবার বাদেও সপ্তাহের মাঝে সরকারি ছুটির দিনগুলিতে দিঘায় পর্যটকেরা আসতেন। (প্রতীকী ছবি)

কিন্তু এবার শনি রবিবার কিছু পর্যটকের দেখা মিললেও সপ্তাহের অন্যান্য দিন পর্যটকেরা দিঘায় আসছেন না। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন বিগত আমফান ও ইয়াসের থেকে শিক্ষা নিয়ে আগে থেকেই মোকা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত।(প্রতীকী ছবি)
Saikat Shee