সন্তানদের নিয়ে তখন সুখনিদ্রায় ছিলেন সমসের আলি। আচমকাই বিকট শব্দ ঘুম ভাঙতেই দেখেন ঘরের ভিতরে কোন একটা বস্তু নড়ছে। ভাল করে দেখতেই বুঝতে পারেন হাতির শুঁড়, এরপরে চিৎকার করে ঘর থেকে তিন সন্তানকে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন সমসের আলি ও তাঁর পরিবার (West Bengal News)। প্রতীকী ছবি। প্রতিবেদন: রকি চৌধূরি, ধূপগুড়ি
হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হল চার চারটি বাড়ি।হাতির তাণ্ডবের এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটল ধূপগুড়ির মল্লিকশোভা গ্রামে। শুক্রবার ভোর রাতে শাবক সহ ১২ টি হাতির একটি দল সোনাখালি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মল্লিকশোভা গ্রামে ঢুকে পরে। হাতির পাল রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে বাশ বাগান, কলা বাগান-সহ বেশ কিছু বাড়িও। প্রতীকী ছবি। প্রতিবেদন: রকি চৌধূরি, ধূপগুড়ি
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গতকাল গভীর রাতে শাবক-সহ ১২ টি হাতির একটি দল ঢুকে পড়ে মল্লিকশোভা এলাকায়। এরপর হাতির দলটি হামলা চালায় আমিনা বেগমের বাড়িতে। সে সময় তিন সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন আমিনা বেগম। হাতির হামলা থেকে বাঁচার জন্য তিনি সেখান থেকে তিন সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নেন পাশের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে। এরপর হাতির দলটি তাদেরকে তাড়া করতে করতে পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতেও হামলা চালায়। এরপর একে একে চারটি বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দেয় হাতির দল। সেই সঙ্গে ঘরে মজুত খাবারও সাবার করে। প্রতীকী ছবি।
স্থানীয় বাসিন্দা সমসের আলি, আজিবউল হোসেন, আমিনা বেগমদের অভিযোগ বনদফতরকে খবর দেওয়া হলেও দফতরের কর্মীরা আসেননি। স্বাভাবিকভাবেই হাতির দলের তাণ্ডবে রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকাবাসী। পাশের কালাখাম্বা বা সোনাখালি জঙ্গল (West Bengal News) থেকেই হাতির দলটি লোকালয়ে এসেছে বলে অনুমান বাসিন্দাদের। প্রতীকী ছবি।
আবারও তারা হামলা চালাতে পারে, ভয়ে কাঁটা হয়ে আছেন এলাকার মানুষ। এরপরেই আজ সকালবেলা এলাকা পরিদর্শনে যান বনদফতরের কর্মীরা। তাঁদের আশ্বাসে কিছুটা আতঙ্ক কাটলেও অস্বস্তি কাটেনি এলাকার মানুষজনের। রাতের অন্ধকারে ফের হামলা হতে পারে ভেবে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তাঁরা। প্রতীকী ছবি। প্রতিবেদন: রকি চৌধূরি, ধূপগুড়ি