• বিস্ফোরণের ফলে তৈরি হচ্ছে বড় বড় সান ফ্লেয়ার বা তরঙ্গ। সেগুলো বিপুল মাত্রায় চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করে। সাধারণ মাপের যে তরঙ্গ হয়, এবারে নাকি তার থেকে কয়েক গুণ বড় মাপের তরঙ্গ তৈরি হয়েছে এই বিস্ফোরণের ফলে। বিজ্ঞানীরা অন্তত তেমনই বলছেন। ইতিমধ্যে সেই তরঙ্গের একাংশ পৃথিবীর উপরের দিকে বায়ুমণ্ডলে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে, কিন্তু বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। (প্রতীকী ছবি)
• বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই সানস্পটের ব্যাস ৫০ হাজার কিলোমিটার হতে পারে। ফুটন্ত গরমের গোলা সূর্যের মধ্যে এই সানস্পটের তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের নীচে। ফলে সেখানে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ও পরমাণুর গঠন বদলে যায়। সেখান থেকেই নির্গত হয় সান ফ্লেয়ার বা তরঙ্গ, কেউ কেউ সেটিকে সৌর ঝড় বলেও চিহ্নিত করেন। (প্রতীকী ছবি)
• বিজ্ঞানের ভাষায় Coronal Mass Ejections (CME) নামে পরিচিত এই ঘটনার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে সৌরমণ্ডলের প্রতিটি গ্রহে। এর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের মত্ততায় এলোমেলো হয়ে যেতে পারে রেডিও যোগাযোগ, জিপিএস, স্যাটেলাইট, পাওয়ার গ্রিড। ফলে বিশ্বজোড়া শক্তির এক অদ্ভুত তাণ্ডব দেখতে হতে পারে মানুষকে। (প্রতীকী ছবি)
• National Oceanic and Atmospheric Administration (NOAA)–এর বিজ্ঞানীরা বলেছে, CME –এর ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আটকে থাকা ইলেকট্রম, প্রোটনের ব্যবহার পাল্টে যেতে পারে। হঠাৎ করে আলোয় আলো হয়ে পারে আকাশ। যাকে ‘ওরা’ বলা যায়। আর সবটাই হতে পারে সূর্যের চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের পরিবর্তনের ফলে। (প্রতীকী ছবি)