Knowledge Story: পৃথিবীর এই ৬ স্থানে কখনও ডোবে না সূর্য! কম ঘুমায় মানুষ, রাতেও থাকে রোদ......

সূর্যাদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবী জেগে ওঠে। অন্যদিকে সূর্যাস্ত হল ঘরে ফেরার সময়। বিশ্রাম নেওয়ার সময়। শুধু মানুষরাই নয়। সূর্যাস্ত হলে পশু পাখিরাও ঘরে ফেরে। কিন্তু জানেন কী?  এমন অনেক দেশ আছে যেখানে আজও সূর্য ডোবে না। এই অবিশ্বাস্য ঘটনা বাস্তবেই ঘটে পৃথিবীতে। আসুন জেনে নেওয়া যাক পৃথিবীর এমন ৬ স্থানের নাম যেখানে সূর্য কখনও অস্ত যায় না।

আর্কটিক সার্কেলে অবস্থিত নরওয়েকে ল্যান্ড অফ মিড নাইট সান বা মধ্যরাতের সূর্যের দেশ বলা হয়, যেখানে মে থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত সূর্য অস্ত যায় না। অর্থাৎ ৭৬ দিন অন্ধকার বা রাত বলে কিছু নেইএই দেশে। নরওয়ের স্যালবার্ডে, ১০ এপ্রিল থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত একটানা দিন থাকে। সূর্যাস্ত হয় না।

কানাডার নুনাভুট (নুনাভুত, কানাডা) হল এক অদ্ভুত জায়গা। যেখানে টানা ৭ দিন সূর্য ডোবে না অন্যদিকে শীতের দিনে টানা ৩০ দিন রাত থাকে।  এই স্থান আর্কটিক সার্কেল থেকে ২ ডিগ্রি উপরে কানাডার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এই স্থানে  টানা ২ মাস ২৪ ঘন্টা দিন থাকে। সূর্য ডোবে না।

গ্রেট ব্রিটেনের পরে, আইসল্যান্ড হল ইউরোপের বৃহত্তম দ্বীপ। এদেশে মশা দেখা যায় না। গ্রীষ্মকালে, বিশেষ করে জুন মাসে, এমনকী রাতেও এখানে সূর্যের আলো দেখা যায়।

আলাস্কার ব্যারো এমন একটি জায়গা যেখানে সূর্য অস্ত যায় না। এখানে মে মাসের শেষ থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা দিন থাকে। যেখানে নভেম্বরের শুরু থেকে এখানে প্রায় ৩০ মাস অন্ধকার থাকে। যাকে পোলার নাইট বলা হয়।

ফিনল্যান্ডে গ্রীষ্মকালে একটানা ৭৩ দিন সূর্য অস্ত যায় না। অন্যদিকে, শীতের দিনে এখানকার মানুষ সূর্য দেখার জন্য আকুল হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন যে এখানকার মানুষ গ্রীষ্মকালে কম ঘুমায় এবং শীতকালে বেশি ঘুমায়। এই স্থান থেকে দেখা যায় নর্দান লাইট দেখা যায়।

সুইডেনে মে মাসের শুরু থেকে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। প্রায় ৬ মাস এই ভাবে সূর্যাদয় ও সর্যাস্ত হয় এই দেশে।