*রসুনের উপকারিতা কে না জানে। শুধু ভারতীয় খাবারে নয়, চাইনিজ এবং থাই খাবারের স্বাদও রসুন ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। রসুন সবজি নাকি মশলা তা নিয়ে আলোচনা চলছে। রসুন এমন একটি খাবার, যেটি খেলে আপনার ঘাম থেকেও গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। ভারতে রসুনের উৎপত্তি ধর্মের সঙ্গে জড়িত। রসুনের বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা এত বেশি, যা খুব কমই কোনও সবজি বা মশলায় থাকে।
*উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী বিশ্বে রসুন উৎপাদনে চীনের পরেই ভারতের স্থান। রসুনের উৎপত্তি নিয়ে দুটি ধারণা প্রচলিত আছে। পৌরাণিক মতে, রসুনের সঙ্গে পেঁয়াজের বংশবৃদ্ধি সমুদ্র মন্থনের সঙ্গে জড়িত। ৭০০-৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে লেখা ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদিক গ্রন্থ 'চরকসংহিতা'-এ রসুনের উল্লেখ আছে। রসুন কৃমি ও কুষ্ঠরোগ ধ্বংসকারী।
*দ্বিতীয় মতবাদ অনুসারে, রসুন মধ্য এশিয়া এবং উত্তর-পূর্ব ইরানের একটি ফসল। তাই বলা হয় ৫০০০ বছর আগে মিশরে এসেছিল। ইতিহাসে উল্লেখ আছে, প্রাচীন মিশরে লোকেরা কারও মৃত্যুতে তাঁর কবরে রসুন রাখত। রসুন এখন সবজির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। রসুন শাকসবজির রসালোভাব দূর করে। চিনা এবং থাই রান্নায় ব্যবহৃত হয় রসুনের বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
*রসুন সবজি নাকি মসলা তা নিয়ে বিতর্ক আছে। ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পুসা) ডক্টর নাভেদ সাবিরের মতে, টেকনিক্যালি রসুন একটি সবজি কিন্তু এটি মশলা হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কারণ, রসুনের সবজি বানানো যায় না। এই কারণে মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। রসুনের গন্ধ বেশি হয় কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে, যার প্রভাব শরীরে অনেকদিন থাকে। আয়ুর্বেদাচার্য ড.আরপি সিং-এর মতে, রসুনে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রসুন প্রাকৃতিক উপায়ে রক্ত পাতলা রাখে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।