ভবিষ্য পুরাণ ছাড়াও বিষ্ণু ধর্মসূত্র, মৎস্য পুরাণ, নারদীয় পুরাণ এবং ভবিষ্য পুরাণেও এই উৎসবের বিশদ উল্লেখ রয়েছে এবং এই ব্রত ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনী। অক্ষয় তৃতীয়ায় কোনও ব্যক্তি স্নান, দান, জপ, তপস্যা, যজ্ঞ প্রভৃতি কর্মে মনোনিবেশ করলে তা শুভ ও চিরন্তন ফল লাভ করে বলেই প্রচলিত বিশ্বাস। প্রতীকী ছবি।
বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলে কুমারী কন্যারা গান গেয়ে পালন করেন এই ব্রত। অক্ষয় তৃতীয়া থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত খুব ধুমধাম করে পালন করা হয় ব্রত ও পূজা। কুমারী মেয়েরা নিজেদের ভাই, বাবা, তথা গ্রামের বাড়ি ও কুটুম্বের সদস্যদের মধ্যে শুভ জিনিস বিতরণ করেন ও গান গেয়ে যান। মজার কথা এই গানের মধ্যে দিয়ে মনের মানুষের বাড়ি যেতে না পারার বেদনা ব্যক্ত হয়। প্রতীকী ছবি।
অন্যদিকে দেশের আরেক প্রান্তে রাজস্থানে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বর্ষা আসার জন্য পুজো-অর্চনা করা হয় আর বর্ষা আসার প্রার্থনা করা হয়। এছাড়াও মেয়েরা ঝাঁকি বানিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পবিত্র গান গায়। ছেলেরা ঘুড়ি ওড়ায়। সাত ধরণের শষ্য দিয়ে পুজো করা হয়। মালওয়াতে নতুন বাড়ির ওপর খরবুজা ও আমের পাতা রেখে পুজোর চল রয়েছে। প্রতীকী ছবি।
কৃষকদের জন্য নববর্ষের শুরুর একটি শুভ দিন হিসাবে বিবেচিত হয় দিনটি। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে কৃষিকাজ শুরু করা শুভ হয়। সমৃদ্ধি আসে কৃষক পরিবারের জীবনে। এই তিথিতে চাঁদ অস্ত যাওয়ার সময় রোহিণী এগিয়ে থাকলে ফসলের ভাল হবে আর পিছিয়ে থাকলে ফলন ভাল হবে না বলে কৃষকদের মধ্যে প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে। প্রতীকী ছবি।
গয়না ও জমিও কেনা হয় এইদিন এই তিথিতে সুখ-সমৃদ্ধি ও জীবনের সর্বাঙ্গীন সাফল্যের কামনা নিয়ে ব্রতোৎসবের সঙ্গে বস্ত্র, গয়না, অস্ত্র-শস্ত্র তৈরি, কেনা ও রাখা হয়। নতুন জমি কেনা, বাড়ি, সংস্থার প্রবেশ এই তিথিতে শুভ বলে বিবেচনা করা হয়। এদিন গৌরীর পুজো হয়। সধবা স্ত্রী ও কন্যারা গৌরী পুজো করে মিষ্টি, ফল ও ভেজা ছোলা বিতরণ করেন, গৌরী-পার্বতীর পুজো করে ধাতু বা মাটির কলসিতে জল, ফল, ফুল, তিল, অন্ন ভরে দান করা উচিত। প্রতীকী ছবি।