

দেড় সেন্টিমিটার আর এক সেন্টিমিটার! এই হল দৈর্ঘ্য আর প্রস্থ মিলিয়ে উচ্চতা। এর মধ্যেই দেবী দূর্গা! হ্যাঁ, মায়ের টিপে দেবীর ছবি! ৬ মাসের প্রচেষ্টায় অবশেষে এল সাফল্য। ছবি এঁকে মাত করলেন শিলিগুড়ির তরুণ চিত্র শিল্পী মিঠু রায়।


করোনা এবং তার মোকাবিলায় লকডাউনের জের। বন্ধ শিল্পীর আঁকা শেখানোর স্কুল। বাড়িতে বসেই ভাবনা কিছু একটা আঁকবেন। যা নজির গড়বে দেশ৷ ছাড়িয়ে বিদেশে। কেননা করোনা আবহে এবারে বড় মৃণ্ময়ী মায়ের প্রতিমার তেমন চাহিদা এখনও আসেনি কুমোরটুলিতেও।


ছোটো প্রতিমার দিকেই ঝুঁকে পুজো উদ্যোক্তারা। সেদিকে তাকিয়ে তরুণ শিল্পীর এই ভাবনা। খুব ছোটো থেকেই আঁকার প্রতি তাঁর ঝোঁক। নিজের শহরকে ফুটিয়ে তুলেছেন তুলির টানে তো বটেই, আরো বহু ছবি এঁকেছেন তিনি। যা জায়গা পেয়েছে দেশ এবং বিদেশের একাধীক ম্যাগাজিনে। পেয়েছেন দেশ-বিদেশের প্রচুর সম্মান। ফ্রান্স, বাংলাদেশে তাঁর আঁকা ছবি জায়গা পেয়েছে। এবারে আর বড় ক্যানভাসে নয়, বেছে নিয়েছেন ছোট্ট একটা টিপকে। আর তাতেই মায়ের মৃন্ময়ী রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন অবিকল।


দশভুজার সব অস্ত্র থেকে অশুর বধ। লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক। তিনটে টিপে এঁকেছেন দেবী এবং তার পরিবারকে। আজ দেবী পক্ষের সূচনায় সামনে এল শিলিগুড়ির তরুণ শিল্পীর নতুন সৃষ্টি। ইতিমধ্যেই তা মনোনীত হয়েছে ইন্টার ন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসে। ছবিটি পাঠিয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। সেখানেও মনোনীত হবে তাঁর এই প্রয়াস। সেই আশাতেই বসে রয়েছেন শিলিগুডির এই শিল্পী। তাঁর কথায়, আগামীদিনে এই ধরনের কাজ করতে চাই। স্বামীর এহেন কাজে প্রথম থেকেই উৎসাহ দিয়ে আসছেন তাঁর স্ত্রী সঙ্গীত শিল্পী সীমা সাহা রায়। কোনো আতশকাঁচ বা চশমায় নয়, খালি চোখেই দেবীর ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন মায়ের টিপে। এর আগে এমন কাজ হয়নি বলে দাবী তাঁর। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা পাবে এই সৃষ্টি। আশায় বুক বেঁধে স্ত্রীও।