

ঘণ্টা দুয়েকের অবিরাম বৃষ্টি। আর তাতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ল শিলিগুড়ি পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড। পুরসভার ১৩, ৩১, ৩৯ এবং ৪৬ নং ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল থৈ থৈ অবস্থা। কোনও কোনও এলাকায় কোমর সমান তো আবার কোথাও হাঁটু জল। ফের শহরের বেহাল নিকাশী নালার ছবি স্পষ্ট হয়ে আসে। তথ্য ও ছবি Partha Pratim Sarkar


ঘণ্টা খানেকের বৃষ্টিতেই জলের তলায় আশ্রম পাড়া, হায়দর পাড়া, চম্পাসারি, অশোক নগর এলাকা। বেশ কয়েকটি বাড়ির ভেতরে জল ঢুকে পড়ে। পাড়ার নর্দমা উপচে পড়ে বৃষ্টির জল। দূর্ভোগ চরমে ওঠে। একেই লকডাউন, সঙ্গে বৃষ্টির জেরে নাস্তানাবুদ হতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুরসভার সাফাই কর্মীরা পৌঁছয় বিভিন্ন ওয়ার্ডে। টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। আর তাই বিভিন্ন ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটরদের সতর্ক থাকবার পরামর্শ দেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য। মানুষের পাশে থাকার আর্জি জানান। তথ্য ও ছবি Partha Pratim Sarkar


আকাশের মুখও ভার হয়ে আছে। রাতে ফের বৃষ্টি নামলে দুর্ভোগ আরো বাড়বে। দুশ্চিন্তায় রয়েছে নীচু ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, বহুবার এই সমস্যা নিয়ে পুরসভাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা সেই তিমিরেই রয়েছে। এমনকী ক্ষমতার হাত বদল হলেও জল নিকাশী সমস্যার সমাধান হয়নি। বেহাল নিকাশীর কঙ্কালসার বেরিয়ে আসে। অথচ প্রতিবছরই বর্ষার সময়ে গুচ্ছের প্রতিশ্রুতি মেলে। বাস্তবে সমস্যা সেই তিমিরেই রয়েছে। পালটানোর ছবি ধরা পড়েনি। ফলে দুর্ভোগ, ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। তথ্য ও ছবি Partha Pratim Sarkar


শহর বাড়ছে, উন্নয়ন হচ্ছে। নতুন রাস্তাঘাট হচ্ছে। কালভার্ট তৈরী হচ্ছে। কিন্তু জল নিকাশীর সমাধানে আজও ব্লু প্রিন্ট তৈরী হয়নি। হলেও তা কার্যকরী হয়নি। দুর্ভোগে থাকা বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার চেয়ার বদলানোর পরও হাল ফেরেনি। মিলেছে শুধু গালভরা প্রতিশ্রুতি। অনেকাংশে স্থানীয় বাসিন্দারাও দায়ী। নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে বাড়ির ময়লা, আবর্জনা না ফেলে সোজা বাড়ির সামনের নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলা। নিয়মিত নর্দমা পরিস্কার না হওয়ায় ভারী বৃষ্টি হলে নালার জল উপচে পড়ে। আর এতেই জল দাঁড়িয়ে পড়ায় দুর্ভোগ বাড়ে। তথ্য ও ছবি Partha Pratim Sarkar