

মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ডক্টর ইসমাইল শেখ। স্বাস্থ্য প্রশাসক হিসেবে কাজ করার ফাঁকে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর ফের কাজে যোগ দেন। মালদহে প্রথম প্লাজমা দানে এগিয়ে এসেছিলেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল অন্যান্য করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো। শনিবার প্রথম দফায় কোভিড ভ্যাকসিন নিলেন ডাক্তার ইসমাইল শেখ। নিজের হাতে তাঁকে টিকা দিলেন মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়।


অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের ভূমিকার প্রশংসা করলেন মালদহের জেলাশাসক রাজষী মিত্র থেকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সকলকে করোনা যুদ্ধে আরো সংযমী ও সচেতন হওয়ার বার্তা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের। একইসঙ্গে দিলেন টিকা নিয়ে অযথা ভয় কাটানোর বার্তা। .যদিও প্রথম দিনে মালদহে করোনার টিকা করনের টার্গেট পূরণ হলো না। মালদহে করোনার টিকা নিলেন না বহু স্বাস্থ্যকর্মী। জেলার আটটি কেন্দ্রে টিকাকরণের হার ৫৫ শতাংশেরও কম।


প্রথমদিনে জেলার আটটি কেন্দ্র থেকে আটশো জনকে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। সেখানে প্রথমদিনের টিকা নিয়েছেন ৪৩৬ জন। জনে জনে ফোন করেও অনেকে টিকা নিতে আসেনি। মালদহে রতুয়াতে সবচেয়ে কম মাত্র ১৯ জন ঠিকা নিয়েছেন। কালিয়াচকে টিকা নিয়েছেন ১০০ জনের জায়গায় ৩০ জন। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন ৫১ জন। চাঁচলে ৪৬ জন, বৈষ্ণবনগরে ৫৬ জন, হরিশ্চন্দ্রপুরে ৭১ জন টিকা নিয়েছেন।তবে টিকাতে ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে মালদহের মানিকচক ও বামনগোলা ব্লকে। জেলায় সবচেয়ে বেশি টিকাকরণ হয়েছে মানিকচকে ৮৩ জন। এছাড়া বামনগোলায় ৮০ জন টিকা নিয়েছেন।


মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এদিন প্রথম টিকা নিয়ে কর্মসূচীর সূচনা করেন হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের সিস্টার ইনচার্জ কৃষ্ণা মণ্ডল। তবে যাঁরা প্রথম দিন টিকা নিলেন তাঁদের অনেকের মধ্যেই আত্মবিশ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টিকা নেওয়ার পর ভিকট্রি সাইন দিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন করোনা যোদ্ধা নার্সরা। Input- Sebak DebSarma