

*শ্রমিক এবং গাড়ির চালক নিয়োগকে ঘিরে ধুন্দুমার এনজেপি সংলগ্ন স্থল বন্দর দপ্তর। ব্যপক সংঘর্ষ। কয়েক রাউণ্ড গুলি চালানোর অভিযোগ। বেপরোয়া ভাঙচুর। পালটা পুলিশের লাঠিচার্জ। সবমিলিয়ে এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় স্থল বন্দর দফতর। তথ্য ও ছবি: পার্থপ্রতিম সরকার।


*শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই টালবাহানা চলছিল। আইএনটিটিইউসি-র অভিযোগ, স্থানীয় শ্রমিক এবং গাড়ির চালক নিয়োগ না করে বহিরাগত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ চলছে স্থল বন্দরে। স্থানীয়দেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে। এই দাবীতেই আজ বিক্ষোভ অভিযান ছিল শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের। আর তাতেই ধুন্দুমার কাণ্ড! খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন অদূরেই উত্তরকন্যায়। ঠিক সেই সময়ে শ্রমিক নেতা প্রসেনজিৎ রায়ের অনুগামীরা গিয়ে এই কাণ্ড ঘটানোয় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।


*তৃণমূল সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই এই শ্রমিক নেতাকে দল নির্দেশ দিয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনও গোলমালে না জড়াতে। তারপরও আজকের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। এই ধরনের আন্দোলনের কড়া নিন্দা করেছেন জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি অরূপ রতন ঘোষও। একটি রিপোর্ট সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও পাঠিয়েছেন।


*সূত্রের খবর, পদ খোয়াতে পারেন শ্রমিক নেতা প্রসেনজিৎ রায়। এদিন স্থল বন্দরের দরজা, জানালার কাঁচ থেকে কোটি টাকার যন্ত্রাংশ, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, আসবাব, মোটর বাইক কিছুই বাদ যায়নি শাসক দলের শ্রমিক নেতা, কর্মীদের তাণ্ডবে! ভেঙে চুরমার মরে দেওয়া হয়েছে। "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রকল্প এটি।" বললেন স্থল বন্দরের বরাতপ্রাপ্য বেসরকারী সংস্থার ডিরেক্টর সঞ্জয় মেওয়ার।


*তিনি বলেন, আন্দোলন বাইরে হত। ভেতরে যেভাবে তাণ্ডব চালালো আজ তারপর আর এখানে কাজ করা যাবে না। পালটা শ্রমিক নেতা প্রসেনজিৎ রায় নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। তাঁর অভিযোগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েক রাউণ্ড গুলি চালিয়েছে। তাতে কয়েকজন জখম হয়েছে। স্থল বন্দরেরও কয়েকজন জখম হয়েছে। পুলিশ বেশ কয়েকজন শ্রমিক নেতা, কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র পুলিশ।