

*টাঙ্গন নদীতে ব্যাপক জলস্তর বৃদ্ধি মালদহে। নদীর জল ধাক্কা মারছে বাঁধ রাস্তায় । মালদহের যাত্রাডাঙ্গা ও বলাতুলি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা। একাধিক জায়গায় বসে গিয়েছে রাস্তা। রাস্তার দুই ধারে ধাক্কা মারছে নদীর জল। আতঙ্কিত হয়ে চাঁদা তুলে বাঁধ রাস্তার ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীদের। রাস্তার বেহাল অংশগুলি মেরামতের কাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।


*পঞ্চায়েতের ভূমিকায় ক্ষোভ। সমস্যার কথা পঞ্চায়েতকে কেউ জানাননি। কারা চাঁদা তুলে রাস্তা মেরামত করছে জানা নেই, পাল্টা দাবি যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের।


মহানন্দা ও ফুলহার নদীর পর এবার মালদহে জল বাড়ছে টাঙ্গন নদীর। বেশকিছু এলাকায় জল বেড়ে তৈরি হয়েছে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি। যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলাতুলি ও যাত্রা ডাঙ্গা এই দুই গ্রামকে যুক্ত করতে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় তৈরি হয় এই রাস্তা। দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তাকে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন। কিন্তু, টাঙ্গন নদীর জল বাড়তেই এরাস্তার ধারে ধাক্কা মারছে নদীর জল।


*রাস্তার পাশের কয়েকশো বিঘা চাষের জমি ইতিমধ্যেই নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে। নদীর জল রাস্তার ধারে আঘাত করায় কিছু জায়গায় রাস্তা বসে গিয়েছে। কিছু জায়গায় রাস্তার পাড়ে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন।


*স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে ওই রাস্তা ভেঙে যাবে অথবা রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে নদীর জল। স্থানীয়দের ক্ষোভ গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা বিপন্ন হলেও মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন বা পঞ্চায়েত। শেষপর্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা লোকজনের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চেয়ে নিয়ে রাস্তার দুর্বল এলাকাগুলিতে বোল্ডার ফেলে ভাঙন রোখার চেষ্টা শুরু করেছেন।


*যদিও এই কাজে ভাঙ্গন রুখবে একথা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। স্থানীয় যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নুর হক অবশ্য দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরি হওয়ার এই রাস্তা মেরামতের কাজ পঞ্চায়েত থেকে এখনই করা সম্ভব নয়। তাছাড়া চাঁদা তুলে নিজেরাই রাস্তা মেরামতের কাজে নামার আগে এলাকার বাসিন্দারা পঞ্চায়েতকে কিছুই জানাননি।