

*দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে শিলিগুড়িতে কাটল ছটপুজোর জট। শিলিগুড়ির ছোটো এবং বড় মিলিয়ে ১৪৫ ঘাটে ছটপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। বাকি ঘাটগুলিতে তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। একমাত্র মহানন্দা নদীর লালমোহন মৌলিক ঘাটে জট চলছিল।


*গ্রিন ট্রাইবুনাল বেঞ্চের নির্দেশে এখানে ২৫ মিটার অংশ 'নো এন্ট্রি' জোন ঘোষণা করে বোর্ড বসানো হয়েছিল। তার আগে মহানন্দা নদীর পার সংস্কারে রেলিং তৈরী করা। এই দুই নিয়ে ছট পুজা উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রশাসনের টানাপোড়েন চলছিল। এর আগে ঘাট পরিদর্শনে গেলে ঘেরাও হন শিলিগুড়ির পুর প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য। ছটপুজো নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ করেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তও। পুরসভার বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর নান্টু পাল।


*ক্রমেই পরিস্থিতি জটিল হচ্ছিল। গতকাল মুখে কালো কাপড় বেঁধে নদীতে মৌন প্রতিবাদে সামিল হয় পুজো উদ্যোক্তারা। সন্ধ্যেয় মোমবাতি মিছিলও করা হয়। 'নো এন্ট্রি' জোন করা হলে অনেকেই পুজো দিতে পারত না। আজ বিকেল থেকে অনশনের ডাকও দেওয়া হয়েছিল। এই অবস্থায় আজ ঘাট পরিদর্শনে যান শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসকেরা। কথা বলেন পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে। তারপরই জট কাটে।


*উদ্যোক্তাদের দাবী মেনে, নদীতে 'নো এন্ট্রি' জোন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে নদীতে সেতুর নীচে পিলার ঘেঁষে সামান্য অংশে পুজো করা যাবে না। ওই অংশে নদীতে জলের গভীরতা বেশী। সেখানে পুজো করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। প্রশাসনিক এই সিদ্ধান্তকে মেনে নেন উদ্যোক্তারা। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে জট কাটায় খুশী উদ্যোক্তা মনোজ ভার্মা জানান, ১০০ বছর ধরে পুজো হচ্ছে। এবারে না হলে সমস্যা বাড়তো। এখন আমরা খুশী।


*তবে কোভিড আবহে পুজো হওয়ায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনওরকম মাইক বা সাউণ্ড বক্স বাজানো যাবে না। আতশবাজি বা শব্দবাজি ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র একটি বাজনা ব্যবহার করা যাবে। প্রতি পরিবার পিছু ২ জন করে ঘাটে পুজো করতে পারবে। ছট পুজো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য র্যাফ-সহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।