

#শিলিগুড়ি: আগামী ৬ ডিসেম্বর ফিরছেন বিমল গুরুং। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর নিজের এলাকায় ফিরছেন বিমল। ওই দিনই শিলিগুড়িতে জনসভা করবেন তিনি। তার আগে পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জল মাপতে আজ সন্ধ্যেয় ফিরলেন রোশন গিরি, বিমলপন্থী মোর্চার সাধারন সম্পাদক। আর তাঁকে বরণ করে নিতে আজ বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমলপন্থীদের থিক থিক ভিড়, যাঁরা গত সাড়ে তিন বছর কার্যত রাজনীতি থেকে ছিলেন দূরে।#শিলিগুড়ি: আগামী ৬ ডিসেম্বর ফিরছেন বিমল গুরুং। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর নিজের এলাকায় ফিরছেন বিমল। ওই দিনই শিলিগুড়িতে জনসভা করবেন তিনি। তার আগে পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জল মাপতে আজ সন্ধ্যেয় ফিরলেন রোশন গিরি, বিমলপন্থী মোর্চার সাধারন সম্পাদক। আর তাঁকে বরণ করে নিতে আজ বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমলপন্থীদের থিক থিক ভিড়, যাঁরা গত সাড়ে তিন বছর কার্যত রাজনীতি থেকে ছিলেন দূরে।


আজ বিমলের ছবি-সহ টি শার্ট পড়ে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন মোর্চা সমর্থকরা। সঙ্গে বিমলের ছবি লাগানো দলীয় ঝাণ্ডা। শয়ে শয়ে বিমলপন্থী মোর্চা সমর্থক পাহাড় থেকে নেমে আসেন সমতলে। ২০১৭ সালের জুনে পাহাড়ে বসেছিল রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠক। ডাক পাননি বিমল গুরুং। ওইদিনই বিমলের নেতৃত্বে শুরু হয় আন্দোলন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ঢিল। পালটা পুলিশ লাঠি চালায়। মূহূর্তে শান্ত পাহাড় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। একে একে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি। পালটা কাদানে গ্যাসের শেল, গুলিও চালায় পুলিশ। টানা ১০০ দিনের বেশী পাহাড় বনধ চলে। এরই মধ্যে গা ঢাকা দেয় বিমল ও রোশন সহ তাঁদের ঘনিষ্ঠরা।


সেপ্টেম্বরের দিকে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে রাজ্যের সঙ্গে হাত মেলায় বিনয় তামাং, অনীত থাপারা। তৈরী হয় বিনয়পন্থী মোর্চা। জিটিএ'র দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় বিনয় তামাংকে। পরবর্তীতে সেই দায়িত্ব পান অনীত থাপা। পাহাড়ে ফিরে আসে শান্তি। বিমল, রোশনরা তখন বিজেপির ছত্রছায়ায়। আচমকাই পুজার আগে আত্মপ্রকাশ করেন সপার্ষদ বিমল গুরুং। কলকাতায় প্রেস মিট করে ঘোষণা করেন আর বিজেপির সঙ্গে নয়, বিজেপি তাদের দাবী মেটায়নি। ধোঁকা দিয়েছে। একুশের লড়াইয়ে তৃণমূলের সঙ্গেই থাকবেন। শুরু হয় দুই শিবিরের টানাপোড়েন। বিমল গুরুং পাহাড়ে এলে ফের অশান্ত হয়ে উঠবে শান্ত পাহাড়। দাবী তুলে মিছিল করে বিনয়পন্থীরা। এই চাপানউতোরের মাঝে আজ পৌঁছন রোশন গিরি।


বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিপুল জনজোয়ার, ভালোবাসায় মুগ্ধ রোশন বলেন, বিমলই পাহাড়ের জননেতা। পাহাড়কে ধ্বংস করেছে বিনয়, অনীতেরা। পাহাড় শান্ত থাকবে। বিমল গুরুং এলে পাহাড়ে উন্নয়ন হবে। তবে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে যারা গোর্খাল্যাণ্ডের দাবী সমর্থন করবে তাদের সঙ্গে জোট গড়বে। কাল রবিবার কার্শিয়ংয়ে জনসভার ডাক দিয়েছে বিমলপন্থীরা। যোগ দেবেন রোশন গিরি সহ প্রথম সারির নেতারা। অনীত থাপার খাসতালুক কার্শিয়ং। এই প্রসঙ্গে অনীত থাপা বলেন, গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে কেউ জনসভা করতে পারে। তবে ওদের কি উদ্দেশ্যে পাহাড়ে আসা, তা বুঝতে হবে। কেননা ওদেরকে পাহাড় থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি। নিজেরাই পালিয়ে গিয়েছিল।