শিলিগুড়ি : বাম পরিচালিত বোর্ডকে হারিয়ে এককভাবে শিলিগুড়ি পুরসভা দখল করে তৃণমূল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যখন তৃণমূলের একাধি পত্য, তখন শিলিগুড়ি ছিল অধরা। রাজ্যে পরিবর্তনের পরও শিলিগুড়ির রঙ ছিল লাল! নেতৃত্বে অশোক ভট্টাচার্য। সেই অশোক ভট্টাচার্যদের হারিয়ে ২২-এর পুরভোটে জয়ী হয় ঘাসফুল শিবির। দীর্ঘদিনের এক স্বপ্ন পূরণ! ভোটের রেজাল্ট বের হতেই কলকাতা থেকে গৌতম দেবের নাম মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই বোর্ডের বৃহস্পতিবার ছিল প্রথম বর্ষপূর্তি। এখনও চার বছর বাকি রয়েছে বোর্ডের মেয়াদ। প্রথম বর্ষপূর্তির অঙ্গ হিসেবে আজ অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পুরবোর্ড। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাই মাইক ব্যবহারে "না" মেয়রের। বাঘাযতীন পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বেরোয়৷ অংশ নেন পুরসভার কর্মীরা। পা মেলান মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী, কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া সহ তৃণমূলের মেয়র পারিষদ, বোরো চেয়ারম্যান সহ কাউন্সিলরেরা।
এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেননি বিরোধী কাউন্সিলররা। বিজেপির পাঁচ, বামেদের চার এবং কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর এদিন গরহাজির ছিলেন। যা বর্ষপূর্তির উৎসবকে কিছুটা হলেও ম্লান করেছে। যদিও এই প্রসঙ্গে মেয়রের যুক্তি, ‘‘সব কাউন্সিলরকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ওঁরা আসেননি। তবে আমরা দীর্ঘদিন পুরসভায় বিরোধী ছিলাম। আমরা সব অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছি।’’
শোভাযাত্রার পর পুরসভায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মানা হয় শব্দবিধি। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা করেন মেয়র। পরে উদ্বোধনী সঙ্গীতও গান মেয়র নিজেই। মঞ্চ থেকেই গত ১ বছরের কাজের খতিয়ান সম্বলিত রিপোর্ট কার্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। ইংরেজিতে লেখা হলেও পরবর্তীতে বাংলা, হিন্দি ও নেপালি ভাষাতে প্রকাশিত করা হবে বলে মেয়র জানান। ওই রিপোর্ট কার্ড সকলের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি ভিন রাজ্যের পুরসভার কাছেও পাঠানো হবে। যেখানে আগামী দিনের কাজের লক্ষ্যমাত্রাও উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও পুরসভা ব্যর্থ বলে কটাক্ষ বাম, বিজেপি, কংগ্রেসের। Input- Partha Pratim Sarkar