

*রাজ্যজুড়ে সাপ্তাহিক লকডাউনের পঞ্চম দিনেও শুনশান রইল পাহাড় থেকে সমতল। শৈলশহর দার্জিলিং সকাল থেকেই বৃষ্টিস্নাত। আকাশের মুখ ছিল ভার। একে লকডাউন, দোসর বৃষ্টি। ঘরবন্দিই রইল পাহাড়। ম্যালের চারপাশ এক্কেবারে নির্জনতায় ভরা। ফাঁকা চৌরাস্তা থেকে জাকির হুসেন রোড। সাধারন বাসিন্দাদের দেখা যাইনি বলেই চলে।


*কার্শিয়ংও ছিল শান্ত। মোটর স্ট্যাণ্ড হোক কিংবা চিমনি! শোনা যায়নি গাড়ির হর্ণ। রাস্তাঘাট খাঁ খাঁ করছে। মিরিকের লেকও আজ জনমানবহীন। গোটা মহকুমাই আজ ঘরে ছিল বন্দি। বন্ধ ছিল সব পরিষেবাই। কালিম্পংয়েও সঙ্গী সেই বৃষ্টি। আর তাই ডম্বরচক হোক বা দূরের ডেলোর রাস্তাও ছিল ধু ধু ফাঁকা। পুলিশি টহল থাকলেও খুব একটা বাড়তি ভূমিকা নিতে হয়নি। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে লেউই আজ বের হননি। সেবক থেকে লামাহাটা সর্বত্রই আজ নিস্তব্ধতার ছবি।


*সমতলের শিলিগুড়িতেও সফল লকডাউন। আকাশ পরিস্কার থাকায় দূরের পাহাড়ও আজ চলে আসে অনেকটাই কাছে। বন্ধ ছিল শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট। বিধান মার্কেট থেকে ফুলেশ্বরি বাজার, এনজেপি বাজার থেকে সুভাষপল্লি বাজার বন্ধ ছিল সব দোকানপাট। ঝাঁপ খোলেনি হংকং মার্কেট বা শেঠ শ্রীলাল মার্কেটের দোকানেরও।


*বাগডোগরা বিমানবন্দরেও ওঠানামা করেনি কোনও বিমান। এনজেপি স্টেশনেও আজ কোনও ট্রেন আসেনি যেমন, তেমনি ছাড়েওনি। সর্বত্রই কড়া লকডাউন। সকালের দিকে শহরের কয়েকটি রাস্তায় কিছু অতি উৎসাহী মানুষ নামলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাউকেই দেখা যায়নি।


*দার্জিলিং মোড়ে বিনা মাস্কে এক যুবক বের হলে তাকে আটকায় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে মাস্ক বের করে দ্রুত নাক ও মুখ ঢাকে। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীর পা ধরে ক্ষমা চায়। এমনকি নিজেই কান ধরে ওঠবোস করে। তবু রক্ষে পায়নি। চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলে পুলিশ। ঠাঁই হয় শ্রীঘরে।


*শহরজুড়ে পুলিশি নাকা তল্লাশি চলে। এতে গ্রেফতারও হন বিনা কারণে বের হওয়া বেশ কয়েকজন মানুষ। তবে সার্বিকভাবে তেমন লোকজন রাস্তায় আজ দেখা যায়নি। বিকেলের পর আরও ফাঁকা হয়ে যায় শহর। পুলিশ ছাড়া কাউকেই যায়নি দেখা। যা দেখে কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মী বলেই ফেললেন, এভাবে শুরুতে শহরবাসী লকডাউন মেনে চললে আজ আক্রান্তের সংখ্যা এখানে এসে পৌঁছত না!