*ফুটপাতে অস্থায়ী ঠেলা গাড়িতে করে মালদহ শহরের রাস্তায় দেদার বিক্রি হচ্ছে লস্যি, শরবত সহ বিভিন্ন ঠান্ডা পানীয়। তীব্র গরমের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে কিনে খাচ্ছেন রাস্তায় তৈরি লস্যি, শরবত। তবে লস্যি ও শরবত তৈরির জন্য যে বরফ ব্যবহার হচ্ছে, তা কোথা থেকে আসছে এ নিয়ে কোনও খোঁজ-খবর নেই সাধারণ ক্রেতা থেকে প্রশাসনের কাছে। প্রতীকী ছবি।
*মালদহ শহরে বা শহরের আশেপাশে, পরিশ্রুত পানীয় জলের তৈরি বরফ তৈরির কারখানা নেই। যে সমস্ত বরফ তৈরির কারখানাগুলি রয়েছে সেখানে মূলত মৃতদেহ ও মাছে দেওয়ার বরফ তৈরি করা হয়। মাছ ও মৃতদেহে বরফগুলি দেওয়া হয়, তাই পরিশ্রুত পানীয় জল দিয়ে তৈরি করা হয় না। তুলনামূলক কম দামে তৈরি সেই বরফগুলি কিনে নিয়ে এসেই বিক্রেতারা লস্যি শরবত তৈরি করছেন। তীব্র গরমের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে লস্যি বা শরবত জাতীয় ঠান্ডা পানীয় কিনে খাচ্ছে। প্রতীকী ছবি।
*মালদহ শহরের প্রতিটি ফুটপাতের দোকানে যে লস্যি তৈরি করা হচ্ছে, তা মাছে দেওয়া বরফ দিয়ে। ফুটপাতে সকলের সামনে বরফ, দই সহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে তৈরি হচ্ছে লস্যি। এমনকী, শরবতে বিভিন্ন ধরনের রং ব্যবহার করা হচ্ছে বরফের সাথে। সেই রংগুলির গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তীব্র গরমের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে মানুষ ফুটপাতের দোকান থেকে লস্যি কিনে খাচ্ছেন। সেই খাবার থেকে নানান রোগের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। কারণ পরিশ্রুত পানীয় জল দিয়ে তৈরি হচ্ছে না বরফগুলি। যদিও বিক্রেতাদের দাবি তারা যে বরফগুলি নিয়ে আসে, সেগুলি ঠান্ডা পানীয় তৈরির জন্যই কারখানায় তৈরি করা হয়। প্রতীকী ছবি।
*অপরদিকে, বরফ কারখানার কর্মীদের দাবি, মাছ ও মৃতদেহে দেওয়ার জন্যই তাদের কারখানায় বরফ তৈরি হয়। মালদহ শহরের রাস্তায় ফুটপাতে এইভাবে শরবত জাতীয় ঠান্ডা পানীয় বিক্রি করা হলেও কোন নজরদারী নেই প্রশাসনের। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আলাদা একটি ফুড ইন্সপেক্টর দফতর রয়েছে। এ ছাড়াও পুরসভার একটি আলাদা খাদ্য দফতর রয়েছে। এই দুটি দফতরের মূল কাজ, শহরের বিভিন্ন খাবারের দোকানগুলির ওপর নজরদারি চালানো। নিয়ম মেনে খাবার তৈরি হচ্ছে কিনা, খাবারের দোকান পরিষ্কার পরিছন্ন কিনা, দোকানগুলিতে খাবারের সামগ্রী ব্যবহারে কোন নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা। নিয়মিত এই সমস্ত বিষয়গুলির ওপর নজরদারি চালানোই তাদের কাজ। প্রতীকী ছবি।