

করোনাকালে কাজ করার জন্যে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল পুরসভার প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য। প্রতিদিন মাথা পিছু ১০০ টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে। কেননা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছিল পুর শ্রমিকেরা। টানা ৬ মাস কাজ করার পরও বহু শ্রমিকই সেই ভাতার টাকা পায়নি বলে অভিযোগে সরব শ্রমিক সংগঠন।


পুরসভার ঘোষণা মতো ২৬ দিনের উৎসাহ ভাতা হিসেবে ২ হাজার ৬০০ টাকা করে পেয়েছিল কিছু শ্রমিক। তবে এখোনো পর্যন্ত পুরসভার পূর্ত দপ্তর, জঞ্জাল সাফাইয়ের কর্মীরা সেই টাকাও পায়নি। বহুবার স্মারকলিপি দেওয়া হলেও সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ। বকেয়া আদায়ের দাবীতে আজ পুরসভার প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্যের চেম্বারের সামনে অবস্থান, বিক্ষোভে বসে বামেদের জোট সঙ্গী কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন। পুর প্রশাসকের সঙ্গে যাতে কেউ দেখা করতে না পারে সেজন্য গেটের বাইরেই চলে অবস্থান, স্লোগান। আটকে পড়েন পুরসভার কমিশনারও। প্রায় দেড় ঘ ঘেরাও হয়ে থাকেন পুর প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য।


কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন ইনটাক নেতা সৌমেন দাস রায় জানান, দাবী আদায়ে স্মারকলিপির ফাইল জমা পড়ে রয়েছে। দিচ্ছি, দেবো করে কাটিয়ে আসছে পুরসভা। শ্রমিকেরাও অধৈর্য্য হয়ে পড়ছে। তাই আজ অবস্থান, বিক্ষোভ। এরপরও বকেয়া আদায় না হলে ২৫ জানুয়ারি পুরসভার গেটে তালা পড়বে। বন্ধ করে দেওয়া হবে পুর এলাকায় জঞ্জাল সাফাই অভিযান।


আন্দোলনের চাপে পরে তিন দিনের মধ্যে বকেয়া মেটানোর আশ্বাস দেওয়ায় ঘেরাওমুক্ত হন প্রশাসক। তাঁর দাবী, পুরসভার আর্থিক ভাঁড়ার শূণ্য। রাজ্যের কাছেও প্রচুর বকেয়া পড়ে রয়েছে। তবুও রাজ্যের মধ্যে একমাত্র শিলিগুড়ি পুরসভা কর্মীদের বেতনও দিয়ে আসছে নিয়মিতভাবে। অনেক পুরসভাই তা পারছে না। অন্যদিকে পুরসভার কো-অর্ডিনেটর তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, পুর প্রশাসক শিলিগুড়িকে পিছিয়ে দিচ্ছে। কোনো কাজই করছে না। একই দাবী আগেও আমরা জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুরসভার কোনো হেলদোল নেই। অবিলম্বে বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে।Input-Partha Sarkar