

অবিরাম বৃষ্টির জের। ধসে জেরবার পাহাড়। একাধিক জায়গায় ধস। বন্ধ জাতীয় সড়ক। বন্ধ রাজ্য সড়কও। শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংয়ের সংযোগকারী ৫৫ নং জাতীয় সড়কে বড় ধস। তিনধরিয়ার কাছে ধস। সমতলের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন পাহাড়। ধসে আহত হয়েছেন দুই মহিলা। ওই সময় রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন তাঁরা। আচমকা পাথর ধসে পড়ায় বিপত্তি। তাদের মাথায় আঘাত লেগেছে। স্থানীয়রা উদ্ধারের পর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।


আহতদের সুকনা গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দিন কয়েক আগে কিছুটা দূরে পাগলাঝোড়াতেও ধস নামে। ধসে বিচ্ছিন্ন বিকল্প পাঙখাবাড়ি রোডও।


রাতভর বৃষ্টির জেরে বড় ধস নেমেছে পাঙখাবাড়িতে। এই পথ দিয়েই পাহাড় থেকে গাড়ি নেমে আসতো শিলিগুড়িতে। বন্ধ বিকল্প এই পথও। এখন একমাত্র খোলা রয়েছে রোহিনী রোড। এই পথ দিয়েই পাহাড় ও সমতলের সড়ক যোগাযোগ চলছে। যদিও পাহাড়ে লকডাউন চলছে। তাই দূর্ভোগ কিছুটা কম।


নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সামগ্রী এবং জরুরী প্রয়োজন বা চিকিৎসার জন্যে শিলিগুড়িতে নামতে হচ্ছে পাহাড়বাসীর। সেক্ষেত্রে ভরসা রোহিণী রোডই। ধস নেমেছে মিরিকের গয়াবাড়িতেও। ১২-এ রাজ্য সড়কে ধস। যার জেরে দিনভর বন্ধ থাকে মিরিক ও শিলিগুড়ির সড়ক যোগাযোগ। ছোটো এবং বড় মিলিয়ে একাধীক ধস নেমেছে দুধিয়া ও পানিঘাটা যাওয়ার রাস্তায়। ঘুরপথে শিলিগুড়ি হয়ে চলছে যোগাযোগ। অনেকটা দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের।


বৃষ্টির জেরে আজ ধস সরানোর কাজও বাধাপ্রাপ্ত হয়। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পূর্ত দফতরের পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীরা। বৃষ্টি কমলে ধস সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। কালিম্পংয়েও একটি গ্রামে ধসের জেরে চারটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পাহাড়ে। আর তাই আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে পাহাড়বাসীর। এদিকে ধস মোকাবিলার জন্য তৈরি জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। তৈরি জিটিএও। পাহাড়ের চার মহকুমা এবং ৮ ব্লকে ডিজাস্টার সেল খুলেছে জিটিএ।