

এবার নাম না করেই প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারী ও তাঁর ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও গেরুয়া যোগের অভিযোগে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সম্পর্কে যে দু জন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা এবং ভাই৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের সভা থেকে শুভেন্দুর নাম না করে এ দিন অভিষেকের কটাক্ষ, তোমার বাড়িতে এখনও উপসর্গহীন বেইমান আছে৷


কয়েকদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন৷ সেই প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, 'আমি বলেছিলাম নিজের বাড়িতেই তুমি পদ্ম ফোটাতে পারোনি৷ পরের দিনই তুমি নিজের ভাইকে নিয়ে বিজেপি-তে যোগদান করালে৷ তোমার বাড়িতে আরও উপসর্গহীন পেসেন্ট রয়েছে৷ আর তুমি তাঁদের চিহ্নিত করে আইসোলেশনে নিয়ে যাচ্ছ৷ আমাদের সুবিধে হচ্ছে৷ 'Photo-File


উপসর্গহীন বেইমান বলে শুভেন্দুর বাড়ির বাকি দুই তৃণমূল সাংসদকেই কি নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? শিশির অধিকারী কাঁথির সাংসদ এবং দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুকের সাংসদ৷ শুভেন্দুর দলবদলের পর থেকে তাঁদের সঙ্গেও তৃণমূলের দূরত্ব বেড়েছে৷ শুভেন্দুর বিজেপি-তে যোগদান নিয়ে মুখ খোলেননি দুই সাংসদও৷


এ দিন নাম না করে শুভেন্দুকে মীরজাফর এবং বেইমান বলে ফের আক্রমণ করেন অভিষেক৷ তিনি বলেন, 'আমি বলেছিলাম আপনি হচ্ছেন উপসর্গহীন বেইমান৷ দলের খেয়েছে, পরেছে, দলের সঙ্গেই গদ্দারি করেছে৷ টিভিতে টাকা নিতে কাকে দেখা গিয়েছিল, তোমাকে! এখন সততার প্রতিমূর্তি সাজছে৷'


শুভেন্দুর দলবদলের পর থেকে পূর্ব মেদিনীপুুরে তৃণমূলের প্রায় কোনও কর্মসূচিতেই ডাকা হচ্ছে না শিশির অধিকারী বা দিব্যেন্দু অধিকারীকে৷ শিশির অধিকারী এখনও দলের জেলা সভাপতি৷ কিন্তু কার্যত কোনও বিষয়েই তাঁর মতামত নেওয়া হচ্ছে না৷ বরং দিন দিন অধিকারী পরিবারের বিরোধী হিসেবে পরিচিত রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির গুরুত্ব বাড়িয়েছে তৃণমূল৷