

•রবিবার উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় যোশীমঠের কাছে নন্দাদেবী হিমবাহ ফেটে আচমকা পাহাড়ের বুকে অলকানন্দা এবং ধৌলিগঙ্গা নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে বান আসে৷ যার জেরে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে তপবনের কাছে গড়ে ওঠা একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প৷ ১৭০ জন মানুষ এখনও নিখোঁজ৷ এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ বাকিদেরও মৃত্যু হয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে৷


•ফিরে এসেছে ৮ বছর আগের স্মৃতি। যেভাবে ধস নামে কেদারনাথে, সেই বীভৎস ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে চামোলির ঘটনা৷ এই প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর সংখ্যাটা ঠিক কততে পৌঁছবে তা এখনও কেউই বলতে পারছেন না।


•উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের প্রতি ৪লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের দল, আইটিবিপি, সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জোর কদমে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে।


•পাহাড়ের তলদেশে বন্যার জলের স্রোতে রাস্তায় অবস্থিতি বাড়িগুলিও নিশ্চিহ্ণ হয়ে গিয়েছে। অনেক গ্রাম খালি করে লোকজনকে নিরাপদ অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আইটিবিপি-র এক মুখপাত্র বলেছেন, রেনি গ্রামের কাছে একটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার কারণে কয়েকটি সীমান্ত পোস্টের যোগাযোগ ছিল "সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ"।


•উত্তরাখণ্ডে উদ্ধার কাজে ফের নিজেদের ছাপ রাখল ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (Indo Tibetan Border Police, ITBP)৷ এদিন চামোলির কাছে তপোবনের এক সুড়ঙ্গে ১৬ জন আটকে পড়েছিলেন৷ তাঁদের নিরাপদে উদ্ধার করল আইটিবিপি৷ এমনকী স্ট্রেচারে তুলে কাঁধে চাপিয়েও মানুষকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছে আইটিবিপি-র জওয়ানরা৷