জেনে নিন কোথায় তৈরি হয় ভোটের কালি? কেন সহজে ওঠে না এই কালি?

এমনিতে এই কালি বিক্রি হয় না। বরাত দিয়ে বানাতে হয়। নির্বাচন কমিশন ছাড়া আর কেউ বরাত দিতেও পারে না। এই কালি বানানোর অনুমতি রয়েছে গোটা দেশে মোটে দু-একটি সংস্থার হাতেই। তাদের থেকেই কালি কেনে নির্বাচন কমিশন।
photo source collected

আজও সঠিকভাবে প্রকাশিত নয় ভোটের কালি তৈরির ফর্মুলা। যাঁরা বানান তাঁরাও গোটাটা জানেন না। এক এক জন জানেন এক এক অংশ জানেন। সবে মিলে করি কাজ ফর্মুলায় তৈরি হয় ভোটের কালি।
photo source collected

এই কালির একটা প্রধান উপাদন হল রুপোর এক রাসায়নিক পদার্থ (সিলভার নাইট্রেট বা AgNO3)। ছয়ের দশকে ন্যাশনাল ফিজিকাল ল্যাবরেটরি এই ফর্মুলা তুলে দেয় দেশের একটি সংস্থাকে। মহীশূরের ওই কালি নির্মাণকারী সংস্থার নাম মাইসোর পেন্টস অ্যান্ড ভার্নিশ লিমিটেড। সংক্ষেপে 'এমপিভিএল'। চুক্তি অনুযায়ী ওই সংস্থা আজও গোপন রেখেছে কালি-রহস্য। সংস্থার দু'এক জন বাদে বাকিদের কাছেও গোপন রাখা হয়।
photo source collected

ওই কালির মধ্যে অ্যালকোহল মেশানো থাকে। তার ফলে অল্প সময়েই শুকিয়ে যায়। তবে মূল রহস্য আছে সিলভার নাইট্রেট-এর মধ্যেই।
photo source collected

কালি লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে আঙুলের চামড়ার প্রোটিনের সঙ্গে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটায় সিলভার নাইট্রেট। আর তাতেই দাগ আর মোছা যায় না। রোদের আলো পড়লে তা আরও চেপে বসে। কালিতে সিলভার নাইট্রেট যত বেশি থাকবে তত বেশি সময় টিকে থাকবে কালি। সাধারণত তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কালি থেকে যায়।
photo source collected