হোম » ছবি » দেশ » কাল দোল, আজ অগ্নি বন্দনা,জানেন কি ন্যাড়াপোড়ার পিছনে কোন পৌরাণিক কাহিনি লুকিয়ে?

Holi: 'আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল', কিন্তু জানেন কি, এর পিছনে লুকিয়ে আছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

  • 19

    Holi: 'আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল', কিন্তু জানেন কি, এর পিছনে লুকিয়ে আছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

    দোলের আগের সন্ধে। গ্রাম থেকে মফস্বলে কচিকাঁচারা ছড়া কাটা শুরু, ''আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল / পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে, বল হরি বোল।'' কিন্তু, কেন পালিত হয় ন্যাড়াপোড়া বা হোলিকা দহন উ‍ৎসব? এর পিছনে পৌরাণিক ব্য়াখ্যাই বা কী, জানেন কি?

    MORE
    GALLERIES

  • 29

    Holi: 'আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল', কিন্তু জানেন কি, এর পিছনে লুকিয়ে আছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

    আসলে কিন্তু শব্দটা 'ন্যাড়া' নয়, শব্দটা 'মেড়া'। মেড়া শব্দের অর্থ ভেড়া বা মেষ। পুরাণ মতে, দোলের আগে চাঁচড় দহনে যে খড়-কাঠের ঘর বা কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়, তা আসলে মেষরূপী ভাদ্রপদা নক্ষত্রের প্রতিরূপ। শাস্ত্রমতে, এই উৎসব আসলে অসুর হিসাবে কল্পিত মেষ বা ছাগলকে পোড়ানোর উৎসব। যার নাশ হওয়ার পরেই সূর্যের উত্তরায়ণ শুরু হয়। শীতের পেরনোর পরে বাড়ে সূর্যের তাপ। দিন বড় হয়। দোলে লাল আবিরের ব্যবহার সূর্যেরই সমার্থক।

    MORE
    GALLERIES

  • 39

    Holi: 'আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল', কিন্তু জানেন কি, এর পিছনে লুকিয়ে আছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

    তবে পুরাণের অন্য একটি কাহিনিও এক্ষেত্রে প্রচলিত আছে। পুরাণে আছে, রাক্ষস সাজা হিরণ্যকশিপু তাঁর প্রজাদের পুজো অর্চনা করা বন্ধ করে দেন। অমরত্ব লাভের জন্য তিনি ব্রহ্মার তপস্যা শুরু করেন। তাঁর তপস্যায় খুশি হয়ে ব্রহ্মা তাঁকে পাঁচটি বর দান করেন।

    MORE
    GALLERIES

  • 49

    Holi: 'আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল', কিন্তু জানেন কি, এর পিছনে লুকিয়ে আছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

    জানেন কী ছিল সেই বিশেষ ক্ষমতা? হিরণ্যকশিপুর মৃত্যু দিনেরবেলাও হবে না, রাত্রিবেলাও হবে না। কোনও মানুষের হাতেও হবে না, প্রাণীর হাতও হবে না। চার দেওয়ালের ভিতরেও হবে না, চার দেওয়ালের বাইরেও হবে না। জলে-স্থলে মহাশূন্যেও মৃত্যু হবে না। এমনকি অস্ত্রের সাহায্যেও হবে না, শস্ত্রের সাহায্যেও হবে না।

    MORE
    GALLERIES

  • 59

    Holi: 'আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল', কিন্তু জানেন কি, এর পিছনে লুকিয়ে আছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

    অমরত্বের বরলাভ করার পর থেকে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন হিরণ্যকশিপু। প্রজাদের উপরে তাঁর অত্যাচার আরও বাড়তে শুরু করে। তবে হিরণ্যকশিপুর নিজের ছেলে প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণুর একনিষ্ঠ ভক্ত। একসময় রাগে নিজের ছেলেকেই হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন হিরণ্যকশিপু। আর এই কাজে হিরণ্যকশিপুকে সাহায্য় করতে এগিয়ে আসেন তাঁর নিজের বোন হোলিকা।

    MORE
    GALLERIES

  • 69

    Holi: 'আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল', কিন্তু জানেন কি, এর পিছনে লুকিয়ে আছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

    হোলিকাও ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত ছিলেন। হোলিকা ব্রহ্মার কাছ থেকে একটি শাল পেয়েছিলেন। ব্রহ্মা জানিয়েছিলেন, এই শাল তাঁকে সবসময় রক্ষা করবে। হোলিকা বলেন, তিনি প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনের মধ্যে বসবেন। শাল থাকায় তাঁর কিছু হবে না। কিন্তু প্রহ্লাদ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। কিন্তু, যেই প্রহ্লাদকে নিয়ে হোলিকা আগুনে প্রবেশ করেন, তখনই তাঁর গায়ের শালটি প্রহ্লাদের গায়ে চলে যায়। ফলে প্রহ্লাদের কিছু না হলেও পুড়ে ছাই হয়ে যান হোলিকা।

    MORE
    GALLERIES

  • 79

    Holi: 'আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল', কিন্তু জানেন কি, এর পিছনে লুকিয়ে আছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

    এই কাহিনি প্রমাণ করে যে, যা-কিছু অন্যায়, যা কিছু খারাপ এই সবকিছুর অবসান হয়ে এইদিন ন্যায়বিচারই প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পুরাণে সেই ঘটনার পর থেকেই হোলিকা দহন উৎসব পালিত হয়ে আসছে।

    MORE
    GALLERIES

  • 89

    Holi: 'আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল', কিন্তু জানেন কি, এর পিছনে লুকিয়ে আছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

    অনেক পুরাণ-বিশেষজ্ঞ আবার এর পিছনে শ্রীকৃষ্ণের মেষাসুর-বধের কাহিনি রয়েছে বলে মনে করেন। বলা হয়, সত্যযুগে রঘু নামে এক ধার্মিক রাজা ছিলেন। ঢুণ্ঢা নামে এক রাক্ষসীর উপদ্রব শুরু হয় তাঁর রাজ্যে। তা থেকে মুক্তি পেতে পুরোহিত বলেন, ঢুণ্ঢা তপস্যা করে শিবের বর পেয়েছে। শুধু ঋতু পরিবর্তনের সময় অল্পবয়সি ছেলেদের হাতে এই রাক্ষসীর বিপদ হতে পারে। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে একে পুড়িয়ে মারতে হবে। এখান থেকেই নাকি এসেছে চাঁচড়পোড়া, মেড়া পোড়া বা বাঙালির ন্যাড়াপোড়ার আচার।

    MORE
    GALLERIES

  • 99

    Holi: 'আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল', কিন্তু জানেন কি, এর পিছনে লুকিয়ে আছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

    সবমিলিয়ে আসলে এই উৎসব অশুভকে আগুনে নাশ করার বহু পুরনো রীতি। যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ভাবে পালিত হয়। ফাল্গুনী পূর্ণিমার আগের সন্ধ্যায় শীতের আবর্জনা, শুকনো ডালপাতা পুড়িয়ে ফেলার নিয়মটা একই। শুধু নামটাই যা আলাদা।

    MORE
    GALLERIES