

তীব্র ঠাণ্ডায় কাঁপছে উত্তর ভারত। শৈত্য প্রবাহএর জেরে আরও বাড়ছে ঠাণ্ডা। হিমালয় থেকে নেমে আসা ঠাণ্ডা শুকনো হাওয়ার জেরে তাপমাত্রা কমেছে সমতলেও। নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে যেমন ঘন কুয়াশা ছিল, বিজ্ঞানীরা সতর্কতা জারি করেছেন যে আগামী কয়েক দিনও একই ধরণের কুয়াশা দেখা যেতে পারে। এদিকে, শনিবার দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার বেশ কয়েকটি অংশে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।


আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যে আগামী ২ ঘন্টা দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পশ্চিম দিল্লির বিভিন্ন স্থানেও বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া উত্তর প্রদেশের শামলি, দেওবন্দ ও সাহারানপুরের কিছু অংশে হালকা তীব্র বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। একই সঙ্গে, হরিয়ানার রোহতক, জিন্দ, পানিপত, কর্ণাল এবং কৈথালে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আবহাওয়া সূত্রের খবর, উত্তর ভারতে ৩ জানুয়ারি থেকে কিছুটা ঠাণ্ডা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। পশ্চিম হিমালয়তে ৪ থেকে ৬ জানুয়ারির মধ্যে বৃষ্টি বা তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।জম্মু ও কাশ্মীরেও ভারী বৃষ্টি বা তুষারপাতএর সম্ভাবনা রয়েছে।


হিমালয়ের পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তর পশ্চিম ভারত এবং মধ্য ভারতের অনেক জায়গায় শীত প্রবাহ চলছে, বলে জানয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৪ ঘন্টা একই রকম আবহাওয়া থাকবে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, পশ্চিম উত্তর প্রদেশ এবং উত্তর রাজস্থানে।


গত ১৫ বছরের শীতলতম নববর্ষ পালন করল দিল্লি। বছরের প্রথম দিনেই রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা নেমে গেল অনেকটাই। শুক্রবার সকাল থেকেই কার্যত কুয়াশার চাদরে মোড়া ছিল গোটা রাজধানী। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগে ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি মাসে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।