

• অপরাধের মূল পান্ডা ছিল সে । অবশেষে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে গণধর্ষণের ও নৃশংস খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । অভিযুক্ত স্থানীয় মন্দিরের প্রধান পুরোহিত । ঘটনার পর থেকেই এক অনুগামীর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল সে । অবশেষে খবর পেয়ে সেই বাড়িতে হানা দেয় উঘৈতি থানার পুলিশ । গ্রেফতার করা হয় পুরোহিতমশাইকে ।


• অভিযুক্তের নাম সত্যনারায়ণ । বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় । বুধবারই সত্যনারায়ণের দুই সাগরেদকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ । তাদের জেরা করেই সত্যনারায়ণের নাগাল পাওয়া যায় । তবে জেরায় সে নিজেকে বারবার নির্দোষ বলে দাবি করেছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। এমনকি ধর্ষিতা, মৃতা ওই মহিলার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল বলেও দাবি করেছে সত্যনারায়ণ । প্রতীকী চিত্র ।


• গত রবিবার বদায়ুঁর ওই ভয়াবহ গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসতেই শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ । উস্কে উঠেছিল নির্ভয়া-কাণ্ডের স্মৃতি । এখানেও গণধর্ষণের পর মধ্যবয়স্কা মহিলার যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল লোহার রড । তবে সত্যনারায়ণের দাবি, নির্যাতিতা ওই মহিলা ছাড়াও আরও দু’জনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বহুদিন ধরেই । সেই নিয়েই তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল । সে দিন রাগে ওই মহিলা কুঁয়োয় ঝাঁপ দেন । প্রতীকী চিত্র ।


• বারবার জিজ্ঞাসাবাদের পরেও সত্যনারায়ণ নিজের বক্তব্যে অটল । সে জানিয়েছে, এই ঘটনার পর দিশেহারা হয়ে আত্মগোপন করেছিল সে । এমনকি অন্য যে দু’জন মহিলার সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে, তাঁদেরও নাম-ঠিকানা পুলিশকে জানিয়েছে সত্যনারায়ণ ।


• অন্যদিকে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, গত রবিবারের ওই নৃশংস ঘটনায় গণধর্ষণের পর অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ওই মহিলার পাঁজর ও পা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ফুসফুসেও মারাত্মক আঘাত ছিল । অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল তাঁর । ঘটনার পর থেকেই মারাত্মকভাবে সমালোচিত হতে থাকে যোগী সরকার । নিন্দা-ধিক্কারে মুখোরিত হয় গোটা দেশ । প্রতীকী চিত্র ।


• ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই মহিলা স্থানীয় মন্দিরে গিয়েছিলেন পুজো দিতে । বিকেল পাঁচটার সময় বাড়ি থেকে বের হন তিনি । কিন্তু তারপর আর ফেরেননি । রাত ১১টার সময় আশেপাশে কোথাও তাঁকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশে একটি নিখোঁজ ডায়রি করে মহিলার পরিবার । এরপরেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ । প্রতীকী চিত্র ।


• সোমবার সকালে মন্দির চত্বর থেকে মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় । ময়ানতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মহিলার যৌনাঙ্গ মারাত্মকভাবে জখম ছিল । প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল মন্দিরের পুরোহিত এবং তার সেবক ও ড্রাইভারের দিকে । সেবক বেদরাম ও ড্রাইভার যশপালকে গ্রেফতার করা হয় । কিন্তু মন্দিরের মোহান্ত বাবা সত্যনারায়ণ গা ঢাকা দিয়েছিল । শেষ পর্যন্ত তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ । মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।