

শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জখম রাজনীতি সরগরম, ঠিক তখনই তৃণমূল ছাড়লেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। দিল্লিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় উপস্থিতিতে দল বদল। বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, আজ আমি বিজেপির সদস্য হিসেবে যোগ দিলাম। রাজ্যের অনাচার দুর্নীতি চলছে তার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত। আমার ধর্মযুদ্ধ বলতে পারেন ৷ সব জল্পনা আর টানা পোড়েনের ইতি ৷ শেষ পর্যন্ত তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখালেন মিহির গোস্বামী।


তৃণমূলের সঙ্গে তিক্ততা বাড়ছিল মিহিরের। রাখঢাক না করেই বারবার দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক। মানভঞ্জনে মিহিরের বাড়ি ছুটে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তবে কাজে এল কোনও চেষ্টাই। বিজেপি সাংসদ নিশীথ অধিকারীর সঙ্গে মিহির গোস্বামী দিল্লি উড়ে যেতেই, স্পষ্ট হয় কী হতে চলেছে


মিহিরের ক্ষোভ, আটের দশক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজনীতি করছেন। সেই মিহিরের পদত্যাগ পত্রেই এক রাশ অভিমান। অভিযোগ,দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে জেলায় দলের মধ্যে বারবার অবহেলিত, অপমানিত হয়েছেন। দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাতে প্রচ্ছন্ন মদত দিয়েছেন। দলনেত্রীকে বারবার জানিয়েও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। তাই তৃণমূল দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। (পুরনো ফেসবুক পোস্ট)


ভোটের আগে মিহিরের তৃণমূলের প্রতি এই ক্ষোভ, অভিমানে প্রলেপ দিয়েছে বিজেপিও। দলের নেতারা বুঝিয়ে দিয়েছেন, মিহির একা নন তার মতো অন্যদের জন্যও পদ্মশিবিরের দরজা খোলা ৷ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মিহির বাবুর মতো অনেক লোক আছেন। যারা একটি সজ্জন তারা পার্টি ছাড়বেন। ওই গোয়ালে আর কেউ থাকবে না ৷’


তবে মিহির গোস্বামীর মতো বিধায়কের চলে যাওয়াকে এক ফোঁটাও আমল দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কে গেল কিছু আসে যায় না। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দেয় ৷’ লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলেছেন সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিং , নিশীথ প্রামাণিকরা... বিধানসভা ভোটের আগে আরও একবার ঘাসফুল শিবিরে ভাঙন... এবার প্রশ্ন মিহিরের পর কে?