মরাঠি ছবি ও টিভির দুনিয়ায় কাজ করেছেন সচিন-সুপ্রিয়া। তাঁদের টিভি শো ‘তু তোতা তু ম্যায়না’ দারুন হিট হয়েছিল। তবে বলিউডেও তাঁদের জনপ্রিয়তা কম নয়। সম্প্রতি কন্যা শ্রিয়াকে নিয়ে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-তে যোগ দিয়েছিলেন এই দম্পতি। সেখানেই উঠে এসেছে তাঁদের জীবনের নানা গল্প। এমনকী নিজেদের প্রেমের গল্পও শুনিয়েছেন তাঁরা। সেই গল্পই আজ শুনে নেওয়া যাক।
সুপ্রিয়া জানান যে, একটি ছবির সেটেই তাঁদের আলাপ। আর তা-ও তাঁর শাশুড়ি মায়ের সৌজন্যেই। সেই গল্পই বলছিলেন সুপ্রিয়া। অভিনেত্রী বলে চলেন, “সেই সময় ছবি পরিচালনার কাজ করছিলেন সচিন। মরাঠি ছবি ‘নবরি মিলে নবরিওয়ালা’-র কেন্দ্রীয় চরিত্রের জন্য অভিনেত্রী খুঁজছিলেন তিনি। এই ছবির নায়িকা খুঁজতে রীতিমতো কালঘাম ছুটে গিয়েছিল তাঁর। এই সময় অভিনেতার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁর মা।” আসলে মুম্বইয়ের দূরদর্শন চ্যানেলে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছিলেন সুপ্রিয়া। সেই অনুষ্ঠানে সুপ্রিয়াকে আলাদা ভাবেই লক্ষ্য করেছিলেন সচিনের মা। আর বুঝে গিয়েছিলেন যে, ওই ছবির জন্য নায়িকা হিসেবে এই মেয়ে একেবারে আদর্শ।
ফলে সচিনও সুপ্রিয়াকে এই প্রস্তাব দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। ছবির শ্যুটিং চলাকালীন এই প্রস্তাব দেওয়া নিয়ে দোটানায় ভুগছিলেন তিনি। সুপ্রিয়া বলেন, “আসলে সচিন ভেবেছিলেন যে, যদি আমি এই প্রস্তাব না মানি! তাহলে তাঁর ছবির কী হবে? তাই ছবির শ্যুটিং শেষ হওয়ার পরেই উনি এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আর আমিও হ্যাঁ বলেছিলাম।”
তবে প্রেমের পরিণতি কিন্তু এত সহজে আসেনি। কারণ বেঁকে বসেছিল সুপ্রিয়ার পরিবার। এমনটাই জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “আসলে আমার মা-বাবা ছবিতে কাজ করা অভিনেতাদের তেমন ভরসা করতেন না। কিন্তু সচিন আমার পরিবারকে বোঝান এবং জানান যে, তিনি নদিয়া কে পার-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন। এর পরেই রাজি হয়ে যান আমার মা-বাবা।”